স্টাফ রিপোর্টার: আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি বঙ্গবাজারে অগ্নিকা- ঘটিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বঙ্গবাজার দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি অগ্নিকা- নিয়ে রাজনীতির অপচেষ্টা করছে। বজ পাতে মানুষের মৃত্যু হলেও বিএনপি বলবে আওয়ামী লীগের দোষ। রাজধানীর আজিমপুর কলোনি মাঠে বৃহস্পতিবার বিকেলে লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান জামালের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সহসভাপতি আব্দুল সাত্তার মাসুদ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অতীতেও আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতা করেছে। মানুষকে কষ্ট দিয়েছে। আজও মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে কষ্ট দিচ্ছে। রাস্তা অবরোধ করে রোজার দিনে কিসের কর্মসূচি? রাস্তা বন্ধ করে রোজাদারদের বিএনপি কষ্ট দিলে, আওয়ামী লীগও শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির হাড় ভেঙে গেছে, এই হাড় আর জোড়া লাগবে না। তাদের আন্দোলন গোলাপবাগে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। বিএনপির পদযাত্রা মানেই পতনযাত্রা। হাঁটুভাঙা দল আর দাঁড়াবে না। তিনি বলেন, আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এ সংকটের মধ্যেও দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে। শেখ হাসিনা কথা দিয়ে কথা রাখেন। আগামী নির্বাচনেও মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নেবেন।
বিএনপির সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনাদের সেই নিরপেক্ষ ব্যক্তি কে? তত্ত্বাবধায়কের নামে ২০০১ সালের মতো, ২০০৬ সালের মতো অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারা চায়। সেই তত্ত্বাবধায়ক বাংলার মানুষ চায় না।