স্টাফ রিপোর্টার: ভালো বেতনের চাকরি দেয়ার নামে ভারতে নারী পাচারে জড়িত একটি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ চক্রের হোতা মো. ইউসুফ একই কায়দায় তার স্ত্রী ও শ্যালিকাকেও পাচার করেছেন। সেখানে ওই দুই বোনকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়া হয়। যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর পুলিশের সহায়তায় তারা দেশে ফিরে আসেন। তাদের জবানবন্দি ও মূলহোতা ইউসুফের দেয়া তথ্যে এই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার চারজন হলেন রানা আহমেদ, সুজন মিয়া, মো. সাহাবুদ্দীন ও নাইমুর রহমান ওরফে শামীম ওরফে সাগর। মঙ্গলবার রাতে ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা থেকে তাদের গ্রেফতার করে সিআইডি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে বুধবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে সিআইডির মানবপাচার প্রতিরোধ ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিরা অন্য আসামিদের সহায়তায় গত বছরের ৪ মে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে দুই বোনকে ভারতে পাচার করে। চক্রের ভারতীয় সহযোগিরা ওই দুজনকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। সেখানে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে তারা পালিয়ে যান। পরে ভারতীয় পুলিশের সহায়তায় ২২ মার্চ তারা দেশে ফেরেন। এখানে তারা আদালতে পুরো ঘটনার জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে দুই বোন জানান, দুই বছর আগে তারা গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি কারখানায় কাজ করতেন। সেখানে বড় বোনের সঙ্গে ইউসুফের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ও বিয়ে হয়। এর কিছুদিন পর বেশি বেতনে চাকরির কথা বলে স্ত্রী-শ্যালিকাকে ভারতের নারী পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করে ইউসুফ। মূলত ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যেই সে বিয়ের নাটক করেছিলো। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে আগেই ইউসুফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চার সহযোগিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিআইডি জানায়, গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। এই চক্রের দেশি-বিদেশি সদস্যদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।