স্টাফ রিপোর্টার: আরব আমিরাত, রাশিয়া, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশে বসবাসকারী কয়েকজন বাংলাদেশি ট্রায়ালের আওতায় শরীরে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশে থাকা কেউ এখনো সরাসরি এই টিকা চোখেও যেমন দেখেননি, তেমনি পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগের সুযোগও পাননি। তবে কিছুটা সুখবর মিলতে যাচ্ছে খুব দ্রুত। অর্থাৎ ট্রায়ালের জন্যই হোক আর অনুমোদন সাপেক্ষেই হোক, ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে আসতে যাচ্ছে করোনার কোনো না কোনো টিকা এটা প্রায় নিশ্চিত বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা এফডিএ কোনো টিকাকে মাসখানেকের মধ্যে অনুমোদন দিলেও কোভ্যাকস হয়ে তা চলতি বছরের মধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছার আশা নেই। অবশ্য যখনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা এফডিএ কোনো টিকা ব্যবহারের উপযোগী বলে ঘোষণা দেবে, তখনই বাংলাদেশের জন্য বড় ভরসার জায়গা হয়ে উঠবে প্রতিবেশী ভারত। বিশেষ করে, এখন পর্যন্ত যে কয়টি টিকা নিয়ে বেশি আশা-জাগানিয়া অবস্থানে রয়েছে বিশ্ব, এর মধ্যে অন্তত দুটি টিকা এফডিএর অনুমোদনের পরপরই ভারতে প্রয়োগ শুরু করার প্রস্তুতি রয়েছে। আর ভারতের যে প্রতিষ্ঠানগুলো এ ক্ষেত্রে সক্রিয়, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ও বেসরকারি যোগসূত্র তৈরি হয়েছে। ফলে সংখ্যায় কম হলেও ভারত থেকে কিছুসংখ্যক টিকা বাংলাদেশে আসবে, এটা প্রায় নিশ্চিত। সেদিক বিবেচনায় রেখে ডিসেম্বরে কোনো না কোনো টিকা বাংলাদেশে আসবে বলে এখনো বলছে একাধিক সূত্র। এ ক্ষেত্রে সরকারি বা বেসরকারি যেকোনো মাধ্যমেই তা আসতে পারে। এমনকি অনুমোদনের আগে জরুরি ব্যবহার কিংবা ট্রায়ালের আওতায়ও কিছু না কিছু টিকা বাংলাদেশে আসবে এবং দেশের অনন্ত ফ্রন্টলাইনার কিছু মানুষের শরীরে তা প্রয়োগ হবে, এটাও অনেকটাই এখন নিশ্চিত।
বাংলাদেশ ফার্মাকোলজি সোসাইটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমরা শিগগিরই হয়তো কয়েকটি ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের সুযোগ পেতে যাচ্ছি। সেই সুবাদে আমাদের এখানে কিছু ভ্যাকসিন আসবে। তবে ট্রায়ালে ভুক্ত সবাই যে ভ্যাকসিন পাবে সেটা নয়, অনেকেই ভ্যাকসিন পাবে আর অনেকে প্লাসিবো পাবে। কিন্তু যাদের শরীরে এগুলো প্রয়োগ করা হবে তারা নিজেরা জানবে না যে সে কোনটা পেয়েছে।’ ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, বিদেশি যে কম্পানিরগুলোর টিকা নিয়ে ট্রায়াল হবে সেগুলোর কী পরিমাণ টিকা এখানে আসবে, সেটাও আগে বলা যাবে না। কারণ সবগুলোই ওই কম্পানির বিশ্বের অন্যান্য দেশে যে ট্রায়াল হচ্ছে তার অংশবিশেষ মাত্র।