আজ প্রতীক বরাদ্দের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণায় নামবেন প্রার্থীরা
স্টাফ রিপোর্টার: দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি। গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে বেশ কিছু প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও অনেক ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এবারের নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রতীকে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র হিসেবে এ দলের সমর্থকরা অংশ নিচ্ছেন। তবে দলীয় কোন্দলের কারণে একই ইউপিতে বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মী প্রার্থী হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকার ঘোষণাও দিয়েছেন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহরের বিষয়ে হুমকি-ধমকি দেয়া হয়েছে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতের হিড়িক পড়েছে। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী রয়েছেন ৩১ ইউপিতে। প্রত্যাহারের পরে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে। তৃণমূলের সব চেয়ে বড় নির্বাচন ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় ধাপে ৩৯ রাজনৈতিক দলের মধ্যে অংশ নিচ্ছে মাত্র ১৭টি। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ পাঁচ দলের প্রার্থী বেশি থাকলেও নামে মাত্র নির্বাচন অংশ নিচ্ছে ১২টি দল। দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৬ ইউপির তিন পদে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা সর্বমোট ৪৩ হাজার ৭৬৭ জন। চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ৯৪৯ জন। এ ছাড়া বৈধ সাধারণ সদস্য প্রার্থীর সংখ্যা হচ্ছে ৩০ হাজার ৪৪৮ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৯ হাজার ৩৭০ জন।
গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষ হয়েছে। আজ চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসাররা। আজ একক প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণা করা হতে পারে। দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ১১ নভেম্বর। আজ চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণায় নামবেন চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থীরা।
দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদা উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২জন ও সাধারণ সদস্য পুরুষ আসনে ৭জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ছিলো প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। আর এদিন পর্যন্ত দামুড়হুদা উপজেলার চার ইউনিয়নে ২জন চেয়ারম্যান পদে ও ৭জন সাধারণ সদস্য পুরুষ আসনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন যারা তারা হলেন, কুড়–লগাছি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ্ মো এনামুল করিম ইনু, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নজির আহমেদ, কার্পাসডাঙ্গার ৫নং ওয়ার্ড সাধারণ সদস্য মাহাবুবুল আলম, বশির আহম্মেদ, জুড়ানপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সাধারণ সদস্য পদে রেজাউল হক, ৭নং ওয়ার্ড সাধারণ সদস্য পদে রাজিব হোসেন, কুড়–লগাছি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সাধারণ সদস্য পদে মাহাবুব রহমান, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সাধারণ সদস্য পদে লাল্টু হোসেন ও ৯নং ওয়ার্ড সাধারণ সদস্য পদে আবুল হোসেন। আজ বুধবার দামুড়হুদা, জুড়ানপুর, কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়–লগাছি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করা হবে বলে উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের গতকাল মঙ্গলবার শেষ দিনে ৫ জন সদস্য প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এরা হলেন ২নং ওয়ার্ডের জুলফিক্কার আলী ও জহুর আলম, ৪নং ওয়ার্ডের বিপ্লব, ৬নং ওয়ার্ডে রাশেদুল ইসলাম ও ৭নং ওয়ার্ডের জালাল উদ্দিন। আজ বুধবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। আগামী ১১ নভেম্বর জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, সংরক্ষিত ৩টি নারী আসনে ১৮ জন ও সাধারণ ৯টি ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ৩৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের ইসাবুল হক মিল্টন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মাও. সাইফুল্লাহ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। সংরক্ষিত ৩টি নারী আসনে ১৮ জন ও সাধারণ ৯টি ওয়ার্ডে ৩৭জন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ৫ জন তাদের মনোয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় সাধারণ ৯টি ওয়ার্ডের সদস্য পদে এখন ৩২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হলো।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার আসন্ন মুজিবনগর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৪ জন, ওয়ার্ড সদস্য পদে ১২ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৩ জন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মেহেদী হাসান এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন ৪ জন। এরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান নান্নু। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহাজনপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ মো. আমাম হোসেন মিলু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিসকিন মোহাম্মদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন। এদের ৪ জনের মধ্যে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেনি। তবে এ ইউনিয়নের মোট ৯টি ওয়ার্ডের জন্য ৩৩ জন সদস্য প্রার্থীর মধ্যে ৩ জন ও ১০ জন সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য পদে প্রার্থীর মধ্যে ৩ জন মোট ৬ জন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন।
দারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন ৬জন। এরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তাকিম। বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন লাবলু, বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক এএসএম মাহাবুব আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান তৌফিকুল বারী বকুল, মনজুরুল হক ও আবুল কাশেম। এদের মধ্যে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিনে এদের মধ্যে বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক এএসএম মাহাবুব আলমের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে। তবে এ ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী ৩৩ জনের মধ্যে ২ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তবে সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য প্রার্থী ১৪ জনের কেউ মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেননি।
মোনাখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৫ জন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম গাইন ওরফে রফা। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ ও সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুবুব রহমান ও জামায়াত নেতা খান জাহান আলী। এদের সকলের মনোনয়ন পত্র বৈধ হলেও জামায়াত নেতা খান জাহান আলী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
এদিকে এ ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী ৪০ জনের মধ্যে একজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তবে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী ৮ জনের কেউ মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেননি।
বাগোয়ান ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৫ জন। এরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী সাবেক ইউপি আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দীন। বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন, ইউপি মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ইউপি আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক শায়েস্তা খান ও বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য শাহিন উদ্দীন। এদের সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। তবে গতকাল ইউপি মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ইউপি আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক শায়েস্তা খান ও বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য শাহিন উদ্দীন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এদিকে ওয়ার্ড সদস্য পদে মোট ৪১জন সদস্য প্রার্থীর মধ্যে ৬জন তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। তবে সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থীর কেউ মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেননি।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ালেন ৯ প্রার্থী। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে গতকাল মঙ্গলবার কাথুলী ইউনিয়নে ২ জন, তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নে ৪জন, সাহারবাটি ইউনিয়নে ১জন এবং বামন্দী ইউনিয়নে ২জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এর হলেন কাথুলী ইউনিয়নে বিএনপি নেতা জাফর আকবর ও আমিনুল ইসলাম, সাহারবাটি ইউনিয়নে ছাত্রলীগ নেতা তোহিদুল ইসলাম, তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমজাদুল আলম, রতন আলী, আব্দুস সাত্তার ও শরিফুল ইসলাম। বামন্দী ইউনিয়নে শ্রমিকলীগ নেতা হবি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল রানা। মটমুড়া ইউনিয়নে কেউ প্রত্যাহার করেননি। সদস্য পদে (মেম্বার) কাথুলী ইউনিয়নে সংরক্ষিত একজন, সাধারণ ওয়ার্ডে একজন, তেতুলবাড়ীয়া, সাহারবাটি ইউনিয়নে সাধারণ ওয়ার্ডে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। সদস্য পদে বামন্দী ও মটমুড়া ইউনিয়নে কোন প্রার্থী প্রত্যাহার করেননি।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রার্থীরা এখন পুরোদমে মাঠে নেমেছেন। প্রতীক বরাদ্দ পেলেই শুরু হবে অন্য রকম যুদ্ধ। চেয়ারম্যান পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী এনামুল হক, বিএনপি নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা ও আমিনুল বারী। ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৪২ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাহারবাটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মশিউর রহমান, জাতীয় পার্টি প্রার্থী বাবলুর রহমান, বিএনপি নেতা বাসীরুল আজিজ বিশ^াস, স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রার্থী ছানারুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম ও আলাউদ্দীন। সাধারণ সদস্য পদে ২৮ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
কাথুলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলজার হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা, সিহাব আলী ও আবুল বাসার। সাধারণ সদস্য পদে ৩১ এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বামন্দী ইউনিয়নেও চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওবাইদুর রহমান কোমল, স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক বিশ^াস, বিএনপি নেতা আব্দুল আওয়াল ও মেহেদি হাসান। এ ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে ৪২ ও ১০ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
মটমুটা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সবচেয়ে কম সংখ্যক মাত্র ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। এরা হলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল হাসেম, জাতীয় পার্টি প্রার্থী আব্দুস সালাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ। সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, দি¦তীয় ধাপের ৮৪৬ ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দিয়েছে ৮৩৮ ইউপিতে, বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন ১১ প্রার্থী। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী দিয়েছে ৩৬৮ ইউপিতে, বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন ১০ প্রার্থী। জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিয়েছে ১০৭ ইউপিতে, বাদ পড়েছেন দুজন প্রার্থী। জাকের পার্টি-প্রার্থী দিয়েছে ৪৯ ইউপিতে, বাদ পড়েছেন দুজন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ২৬৫৫ জন, বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন ৯৯ জন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা স্বতন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে এ নির্বাচন অংশ নিচ্ছেন। তবে বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত জানালেও এ দলের নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোট ৬৯১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে ১২৬ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১১ জন প্রার্থীসহ মোট ২৭ জন দলীয় প্রার্থী রয়েছেন। আর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৯৯ জনের। সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে ৪৪২ জনের। সংরক্ষিত সদস্য পদে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে ১২৩ জনের।