স্টাফ রিপোর্টার: দেশে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা। ৭৬ দিন পর সর্বনিম্ন মৃত্যু দেখল দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আরও ৭০ জন। এর আগে চলতি বছরের ১৯ জুন আজকের চেয়ে কম ৬৭ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া একই সময়ে ২৬ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ১৬৭ জন। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৪৩৬ জন নতুন রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছিল। আর মৃত্যু হয়েছিল ৮৮ জনের। সেই হিসাবে একদিনে শনাক্ত রোগী আর মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই কমেছে। একদিনে মারা যাওয়া ৭০ জনকে নিয়ে দেশে করোনাতে সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মোট প্রাণ হারালেন ২৬ হাজার ৪৩২ জন। একই সময়ে শনাক্ত হওয়া তিন হাজার ১৬৭ জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগী মোট শনাক্ত হলো ১৫ লাখ ১০ হাজার ২৮৩ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ৬৯৭ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্তদেও মধ্যে সুস্থ হলেন ১৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৮২ জন। একদিনে করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৯টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৯ হাজার ৪৩৮টি। দেশে এ পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯০ লাখ ২১ হাজার ১০২টি জানিয়ে অধিদপ্তর জানাচ্ছে, এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৬৬ লাখ ৮২ হাজার ৫৯৮টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫০৪টি। একই সময়ে করোনায় রোগী শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ আর এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৫২ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৭০ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৪ জন আর নারী ৩৬ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেল ১৭ হাজার ১১৮ জন আর নারী মারা গেল নয় হাজার ৩২৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে রয়েছেন চারজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন। আর তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৫ জন, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের চারজন করে খুলনা বিভাগের ১২ জন, সিলেট বিভাগের আটজন আর রংপুর বিভাগের রয়েছেন তিনজন। মারা যাওয়া ৭০ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৫৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১০ জন আর বাড়িতে মারা গেছেন তিনজন।