স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনায় দুই দিন ধরে বাড়ছে মৃত্যু। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ও শনাক্তের হারও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। একদিনে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন মারা যায় ৪৮ জন। শুক্রবার এ সংখ্যা ছিল ৩৮। সব মিলিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৬ হাজার ৯৩১ জনে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। একদিনে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৭১ জন। আগের দিন ১ হাজার ৩২৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪১৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৫৮৬ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৮২১ জন। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০২টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৪০টি, জিন এক্সপার্ট ৫৫টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬০৭টি। এসব ল্যাবে ২৫ হাজার ১১২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ হাজার ৭৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩৩টি। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৬৩ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। পুরুষ ২২ ও নারী ২৯ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৩ ও বেসরকারি হাসপাতালে আটজন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪, রাজশাহী বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে নয়জন, সিলেট বিভাগে ছয়জন, রংপুর বিভাগে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন আছেন। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের আটজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের সাতজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুজন এবং ২০ বছরের নিচে রয়েছেন একজন।