স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৬৩২ জন। এতে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৮৪১ জন হয়েছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ১৫৬ জন। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা সংক্রান্ত সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়, বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৬২২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪ ঘণ্টায়। এর ফলে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ২৯ হাজার ৩৫১ জন হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১২টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ১৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ১০টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৪০টি ল্যাবে ১৭ হাজার ২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩০ লাখ ২২ হাজার ৫৩৭টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ লাখ ১১ হাজার ৯৬৬টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৬ লাখ ১০ হাজার ৫৭১টি।
২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ এবং নারী ৪ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১৮ জনের বয়স ছিলো ৬০ বছরের বেশি, ৬ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১-৪০ ছিলো। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন রাজশাহী এবং ২ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ১৫৬ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৪৬২ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৬৯৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৮৭০ জনের বয়স ছিলো ৬০ বছরের বেশি। এ ছাড়া ১ হাজার ৮৩৪ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ৮৪৪ জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ৩৬৩ জনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৭ জনের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে, ৫৫ জনের বয়স ১১-২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৩ জনের বয়স ছিলো ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯০৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৩৩০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪২০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫১২ জন খুলনা বিভাগের, ২৩১ জন বরিশাল বিভাগের, ২৮০ জন সিলেট বিভাগের, ৩২২ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৫৫ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।