স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৯৩ জন। রোববার বিকেলে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ১৯৩ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৮ হাজার ২৬৬ জন হলো। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৫২৪ জনে দাঁড়াল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৪৯৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৯২ হাজার ৮৬০ জন হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিলো গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে তিন লাখ পেরিয়ে যায় ২১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ১০ অক্টোবর সেই সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩ কোটি ৭২ লাখ পেরিয়ে গেছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১০ লাখ ৭৩ হাজারের ঘরে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ষোড়শ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০৯টি ল্যাবে ৯ হাজার ৪৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২০ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৫টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ২৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৭ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন, নারী ৫ জন। তাদের মধ্যে ২৩ জন হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ১ জন করে মোট দুইজনের বয়স ছিল ৪১ থেকে ৫০ ও ৩১ থেকে ৪০ বছরের কম ছিল। ১৭ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন করে মোট ৪ জন চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ৩ জন সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ৫২৪ জনের মধ্যে ৪ হাজার ২৫৬ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ২৬৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৮৪১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৪৮২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬৯৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩০৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১২৪ জনের ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ২ হাজার ৮০৭ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ১১৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৫৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৪৯ জন খুলনা বিভাগের, ১৯৩ জন বরিশাল বিভাগের, ২৩৬ জন সিলেট বিভাগের, ২৫১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১১৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।