স্টাফ রিপোর্টার: দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৫২টি উপজেলার সাধারণ নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যেই এসব উপজেলায় নির্বাচন করতে হবে। বাকিগুলোর কিছু হবে চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে, আর কিছু ২০২৭ ও ২০২৮ সালে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রগুলো বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সম্প্রতি নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন উপযোগী উপজেলাগুলোর তথ্য জানাতে বলেছিল। সেই নির্দেশনার আলোকে মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদার একটি তালিকা নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমকে পাঠিয়েছেন। তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১৬ জুন পর্যন্ত ৪৫২টি উপজেলার প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকি ৪৩টি উপজেলার মধ্যে বেশ কিছু উপজেলার প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৭ জুন থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। অন্যগুলো ২০২০ সালে, ২০২২ ও ২০২৩ সালেও প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর প্রথম সভা হয়েছিলো ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর, চাঁদপুরের হাইমচরের প্রথম সভা হয়েছে ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, কুমিল্লার দাউদকান্দির প্রথম সভা হয়েছে ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর, খাগড়াছড়ির গুইমারার প্রথম সভা হয়েছে ২০২২ সালে ১৬ আগস্ট, ময়মনসিংহের তারাকান্দায় প্রথম সভা হয়েছে ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর ও সিলেটের ওসমানীনগরে ২০২২ সালের ৫ ডিসেস্বর। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় সীমানা জটিলতায় মামলার কারণে ২০০৯ সালে নির্বাচন আটকে গেছে। সে সময় চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন সম্ভব হয়নি। কক্সবাজারের ঈদগাঁও নবগঠিত হওয়ায় আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর নির্বাচন করতে হয় মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। এই হিসাবে ৪৫২ উপজেলার নির্বাচনের সময় গণনা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। জানুয়ারিতে আরও কয়েকটি উপজেলার নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে। এ ছাড়া কয়েকটি সময় গণনা শুরু হবে ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে। কয়েকটির সময় গণনা শুরু হবে ২০২৭ ও ২০২৮ সালে। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে সময় ৪৮৮টি উপজেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ৪৫৫টির নির্বাচন যথাযথ সময়ে, পরবর্তীতে অন্যগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছর ১০ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৮টি, ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে ১১৬টি, ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে ১১৭টি, ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপে ১০৭টি এবং ১৮ জুন পঞ্চম ধাপে ২০টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বেশ কিছু নির্বাচন মামলার কারণে আটকাও ছিল। আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর নির্বাচন করতে হয় মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। নির্বাচন নিয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, গতবারের মতো এবারও কয়েক ধাপে উপজেলার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ক্ষেত্রে প্রথম ধাপের ভোট রোজার আগে (আগামী মার্চের প্রথমার্ধে) অনুষ্ঠিত হবে। বাকিগুলোতে ভোট হবে ঈদের পর। সর্বশেষ নির্বাচনে ১৪টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও ট্যাব ব্যবহার করা হয়েছিল।