স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহে নির্মাণের দীর্ঘদিন পরও চালু হয়নি ওরাল স্যালাইন ফ্যাক্টরি। ফলে খাবার স্যালাইনের সুবিধা থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ, তেমনি অযত্ন-অবহেলায় ঝোপঝাড় আর আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে ফ্যাক্টরিটি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে একটি প্রকল্পের আওতায় পুরোনো শহরের হাসপাতালের পাশে ঝিনাইদহ ওরাল স্যালাইন ফ্যাক্টরি নির্মাণকাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হয় ২০০৭ সালে। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ফ্যাক্টরিটি হস্তান্তর করা হয়। কথা ছিলো এ ফ্যাক্টরিতে স্যালাইন তৈরি হবে। এ স্যালাইন আশপাশের জেলাগুলোর সরকারি হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করা হবে। ব্যবহৃত হবে রোগীদের চিকিৎসায়। বিশেষ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো লোকবল নিয়োগ হয়নি। সরবরাহ করা হয়নি স্যালাইন তৈরির যন্ত্রপাতি। ফলে ফ্যাক্টরিসহ ভবনটি এখন কোনো কাজে আসছে না।
ঠিকাদার জাহিদ হোসেন জানান, স্যালাইন ফ্যাক্টরি নির্মাণে ৯২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছিলো। জেলার মানবাধিকারকর্মী অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু জানান, অনেক টাকা ব্যয়ে এ স্যালাইন ফ্যাক্টরিটি নির্মাণ করা হয়। এটি দীর্ঘদিন যাবত পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে নির্মাণের উদ্দেশ্য। তিনি এটি চালুর দাবি করেন।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ জানান, অনেক আগে স্যালাইন ফ্যাক্টরিটি নির্মাণ করা হয়। লোকবল ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ না করায় তা চালু হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা জানান, যশোরে একটি স্যালাইন ফ্যাক্টরি আছে। সে কারণে পাশের জেলা ঝিনাইদহে আরেকটি ওরাল স্যালাইন ফ্যাক্টরি চালুর যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করছেন না কর্তৃপক্ষ। আর ভবনটি অন্যভাবে ব্যবহারের কথা চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।