স্টাফ রিপোর্টার: পুলিশ প্রধানের দিকনির্দেশনায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম সুসংগঠিত করার মধ্য দিয়ে সেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। বৈশ্বিক মহামারী করোনা প্রতিরোধে অতীতের যে কোনো সাফল্যকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ পুলিশ এবার সেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আলোকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ৫ নম্বর বিট পুলিশিং কার্যক্রমের অফিস উদ্বোধনে এ কথা বলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, মানুষের ধারণা ছিলো সেবা গ্রহণের জন্য জনগণ পুলিশের কাছে যাবে। সে ধারণা এখন পাল্টে গেছে। বর্তমানে সেবা দেওয়ার জন্য পুলিশ জনগণের কাছে যাবে। বাংলাদেশ পুলিশের প্রধানের দিকনির্দেশনায় বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে দেশব্যাপী সুসংগঠিত করা হচ্ছে। যেকোনো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে সেদেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, জনগণের যেকোনো ধরণের বৈধ চাহিদার নিরাপত্তা দেয়া। বাংলাদেশ পুলিশ উন্নয়নের সেই অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় সামিল হয়েছে। ইনশাল্লাহ সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন পুলিশের সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে। মানুষ হয়ে উঠবে সোনার মানুষ। দেশ হয়ে উঠবে মাদক-জঙ্গি-সন্ত্রাসমুক্ত এবং দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা। বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবেই ইনশাল্লাহ।
এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার বলেন, এলাকায় সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে যেমন, বাল্যবিয়ে, শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়ন, মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। এসকল বিষয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। স্থানীয় বিবাদ মিমাংসা (অধরতব্য অপরাধ) নিরসন করে জনগণের সেবা প্রদানে বিট পুলিশিং কার্যক্রম সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। প্রত্যন্ত এলাকাতে পুলিশের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে বসে, আলোচনা করে পুলিশের সেবা গতিশীল করা হবে। যেনো গ্রাম্য দালালচক্র ও অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি না পায়।
এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কনক কুমার দাস। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান, আলোকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইসলাম উদ্দিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ৫ নম্বর বিট পুলিশের কর্মকর্তা এসআই আহসানুর রহমান।