চুয়াডাঙ্গার দোস্ত গ্রামে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজন গ্রেফতার

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন দোস্ত আমতলা মোড়ে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় নয়নের সহযোগী সাইদুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত এবং ধরিয়ে দেয়ায় দোস্ত আমতলা মোড়ের আফাজ উদ্দিনকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়েছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় আফাজ উদ্দিন ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে নয়ন এবং সাইদুরের সহযোগিদের বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দর্শনা থানাধীন দোস্ত গ্রামের আমতলা মোড়ে গতপরশু সোমবার বিকেল ৫টার দিকে এক পথচারীকে পুলিশ পরিচয়ে ভয় দেখিয়ে মারধর করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় দোস্ত গ্রামের ভুঞাপাড়ার মাফির ছেলে নয়ন (২৪) ও একই পাড়ার সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরুর ছেলে সাইদুর রহমান (২৩)। এ ঘটনায় ওই দিনই নয়নকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় সাইদুর। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সাইদুর তার সহযোগী নয়নকে পুলিশে দেয়া এবং চড়থাপ্পড় মারার কারণে গ্রামের আ. মান্নানের ছেলে আফাজ উদ্দীনের নামে দর্শনা থানায় অভিযোগ করতে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ দর্শনা থানা পুলিশকে অবহিত করে। দর্শনা পুলিশ সাইদুরকে থানার মধ্য থেকেই গ্রেফতার করে। আফাজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, দিনেদুপুরে পথচারীর নিকট থেকে পুলিশ পরিচয়ে টাকা ছিনিয়ে নেয়া এবং ছিনতাইকারীদের শনাক্ত এবং পুলিশে ধরিয়ে দেয়ায় সাইদুর বাড়িতে ফেনসিডিল রেখে আমাকে ফাঁসিয়ে দেবার হুমকি দেয় জনসন্মুখে। আমি গতকাল দর্শনা থানায় অভিযোগ করতে এসে দেখি উল্টো সাইদুর আমার নামে অভিযোগ দিচ্ছে। ছিনতাইকারীকে থানায় দেখে আমি হতবাক হয়ে পড়ি। পরে জানতে পারি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। আফাজ উদ্দিন আরও জানান, নয়ন এবং সাইদুর নানা অপরাধমূলক কর্মকা-ের সাথে জড়িত। তাদের ভয়ে এলাকাই কেউ মুখ খুলতে সহস পায় না। তারা কয়েকজন মিলে একটি গ্রুপ করে আড্ডা দেয়। তাদের হুমকি ধামকিতে আমি চরম ভয় পেয়ে যায়। ফলে থানায় এসে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিই।

উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বলদিয়া গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে হামিদুল ইসলাম (২৭) ডুগডুগি বাজার এলাকা থেকে বস্তা সেলাইয়ের কাজ সেরে বাইসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলো। দর্শনা থানাধীন দোস্ত আমতলা মোড়ের অদূরবর্তী বটতলার নিকট পৌঁছুলে নয়ন এবং সাইদুর পুলিশ পরিচয়ে তার গতিরোধ এবং মারধর করে ৪শ’ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরক্ষনই স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ছিনতাইয়ের টাকা ফেরত পায় হামিদুল। একটি সূত্র জানায়, দোস্ত গ্রামের আমতলা মোড় এলাকায় ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ মাদককারবারীর চক্র আছে। যাদেরকে পরিচালনা করা হয় ঢাকা থেকে। পুলিশি তৎপরতায় মাদককারবার বিঘিœত হওয়ায় এরা নানা ধরণের অপরাধমূলক কর্মকা-ের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৪ মে চুয়াডাঙ্গার দোস্ত-উকতো সড়কে সন্ধ্যারাতে ডাকাতির কবলে পড়েন এক গরু ব্যবসায়ী। ডাকাত দল গরু ব্যসায়ীর হাত পা বেঁধে নগদ সাড়ে ৮ হাজার টাকা ও একটি টিভিএস মোটরসাইকেল লুট করে নিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

Comments (0)
Add Comment