স্টাফ রিপোর্টার: রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যদিয়েই শেষ হচ্ছে বছর। আজকের গণমিছিলকে কেন্দ্র করে ফের মুখোমুখি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। রাজপথে শক্তির মহড়া দেবে দুদল। তাদের এমন অবস্থানে সংঘাতের আশঙ্কাও করছেন অনেকে। সরকার পতনে ১০ দফা দাবিতে আজ রাজধানীতে গণমিছিল করবে বিএনপি। কর্মসূচি সফলে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। যুগপৎ কর্মসূচি হিসেবে মাঠে থাকবে সমমনা দলগুলো। দীর্ঘদিন পর ঘোষণা দিয়ে রাজপথে নামছে জামায়াতে ইসলামীও। সবমিলিয়ে রাজধানীতে আজ বড় ধরনের গণজমায়েত ঘটাবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
এদিকে বিএনপিকে মাঠ ছেড়ে দেবে না আওয়ামী লীগ। রাজপথ দখলে রাখতে তারাও পালটা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানীর নয়টি স্পটে সমাবেশ করবে দলটি। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সতর্ক থাকবে নেতাকর্মীরা। জামায়াত রাজপথে নামায় ক্ষমতাসীনরা আজকের কর্মসূচিকে বেশ গুরুত্বে সঙ্গে নিয়েছে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়সহ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের আশপাশে সতর্ক পাহারায় থাকতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আজকের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। বিশেষ করে জামায়াত মাঠে নামার ঘোষণা দেওয়ায় তারা বিষয়টিতে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গণমিছিলকে কেন্দ্র করে মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত পুলিশ। সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও থাকবে মাঠে।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় রাজনীতি। সমাবেশের স্থানকে কেন্দ্র করে এ উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করে দলটি। নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই গণসমাবেশে অটল থাকে বিএনপি। বিভিন্ন জায়গা থেকে নেতাকর্মীরা এসে নয়াপল্টনের সামনে জড়ো হতে থাকে। ৭ ডিসেম্বর সড়কে অবস্থানকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও পুলিশের সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও পুলিশসহ অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়। কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালায় পুলিশ। নয়াপল্টন থেকে বিএনপির চার শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। একদিন পর আটক করা হয় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে। নয়াপল্টনের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় এসব নেতাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। চার দফা আবেদন করার পরও এখনো জামিন হয়নি ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আজকের গণমিছিলকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।