করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ে ধাপে ধাপে ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন করতে না পারলে বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বে বহাল রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) পর্যায়ে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ না থাকায় মেয়াদ শেষে ৯০ দিন পরে বর্তমান পরিষদকেই পরবর্তী ভোট পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়ার প্রক্রিয়া নেওয়া হবে।
সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, “যেসব ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে অথচ কোভিডের কারণে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না- এই বিষয়ে আইনগুলো পর্যালোচনা করছি। ৯০ দিনের একটা সময় রয়েছে। এরপর সমাধান আমাদের দিতে হবে, সেজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। দেশের সাড়ে চার হাজার ইউপির মধ্যে মহামারীর মধ্যে মাত্র দুই শতাধিক ইউপিতে এখন পর্যন্ত ভোট করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন।
২০১৬ সালে মার্চ থেকে জুনের মধ্যে ছয় ধাপে আগের মেয়াদে ভোট হয়েছিল। চলতি বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে আটকে রয়েছে পরবর্তী কার্যক্রম। সবশেষ ২১ জুন ভোট হয়েছে ২০৪ ইউপিতে। আগামী ২৮ জুলাই সিলেট-৩ আসনের উপ নির্বাচন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী ভোটের প্রক্রিয়া কখন শুরু করবে তা নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি। দ্বিতীয় ধাপের ভোট ও পরবর্তী কার্যক্রমের বিষয়ে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, “আটকে থাকা ইউপি নির্বাচন কবে হবে তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। “এছাড়া দ্বিতীয় ধাপের বিষয়েও কোনো আলোচনা হয়নি। পরবর্তী কমিশন সভায় এ নিয়ে আলোচনা হলে সিদ্ধান্ত জানানো যাবে।”স্থানীয় সরকারের ভোট আটকে আছে, সেখানে বর্তমান চেয়ারম্যানসহ অন্য জনপ্রতিনিধিরা বহাল থাকবেন কিনা জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, “এটা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিষয়। স্থানীয় সরকার ইউপি আইন অনুযায়ী ৯০ দিন দায়িত্ব দেওয়ার বিধান রয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয় দেখবে কাকে দায়িত্ব দেবেন।”