কুষ্টিয়ায় পর্নোগ্রাফি তৈরি ও বিক্রি : ৮ জন গ্রেফতার

 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি এডিট করে ইন্টারনেটে সরবরাহ করার অপরাধে ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত পরশু শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং নিশান মোড় এলাকার হাউজিং ডি-ব্লকের মুন্সী কটেজের ৪র্থ তলা ভাড়া বাসা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন-কুষ্টিয়া মডেল থানা এলাকার আলামপুর দহকুলা এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে মিন্টু মন্ডল (৩০), একই এলাকার আবু তালেব মিয়ার ছেলে সোহানুর রহমান (২৮), একই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে অন্তর আলী (২৩), মৃত মনোয়ার হোসেনের ছেলে ফয়েজ মাহমুদ তুষার (২৩), হাউজিং সি-ব্লক এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে আকাশ রাকিবুল (২১), বগুড়া শেরপুর থানাধীন হাপুনিয়া এলাকার গোলাম রসুলের ছেলে আব্দুল মজিদ (২২), সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া থানাধীন খালিয়াপাড়া এলাকার  আইয়ুব আলীর ছেলে মেহেদী হাসান লিখন (২৫), ও আলামপুর দহকুলা এলাকার তিতুমীরের ছেলে ফাহিদ হোসেন (১৬)। জানা গেছে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যম পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও সরবরাহ করার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে এস. আই জিন্নাহ্ আহাম্মেদ, এস.আই মো. আলমগীর হোসেন, এস.আই সাজু মোহন সাহা, এ.এস.আই অনুপম বিশ্বাস, এ.এস.আই শেখ শাহিন, কনস্টেবল শেখ সুমন আহম্মেদসহ সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাউজিং ডি ব্লক এলাকার একটি চারতলা বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা দরজা ভিতর থেকে লক করে তাদের কম্পিউটার থেকে বিভিন্ন আলামত ডিলিট করতে শুরু করে এবং কম্পিউটারের হার্ডডিক্স লুকিয়ে ফেলে। পরে পুলিশ ভিতরে প্রবেশ করে তল্লাশি করে সেই হার্ডডিক্স উদ্ধার করে এবং আসামিদের বিভিন্ন আলামতসহ আটক করে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও সরবরাহ করার অপরাধে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যম পর্নোগ্রাফি এডিট করে ইন্টারনেট ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সরবরাহ করে। এছাড়াও ওয়েবসাইটে পর্নোগ্রাফি সরবরাহ করে তাদের ডিভাইসে সংরক্ষণ করে। আসামিদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফি এডিট করার বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment