স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনায় মৃত্যু একদিন কমলে পরের দিনেই তা বেড়ে যাচ্ছে। টানা ৪ দিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এরপর মৃত্যু একশর নিচে নামে। টানা ৩ দিন তা নব্বইয়ের ঘরে রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় তা আবারও শ ছুঁই ছুঁই, প্রাণ গেলো ৯৮ জনের। এ নিয়ে করোনায় দেশে মৃত্যু হলো ১০ হাজার ৭৮১ জনের। এদের অর্ধেকের বেশিই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। আর নারীদের চেয়ে পুরুষের মৃত্যু প্রায় তিনগুণ। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর ৭৩ দশমিক ৭২ শতাংশই পুরুষ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়। কয়েক দিন ধরে করোনা সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা নি¤œমুখী। শনাক্তের পাশাপাশি কমছে শনাক্তের হারও। একদিনে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ১৪ জন। আগের দিনে শনাক্ত হয়েছিলো ৪ হাজার ২৮০। সবমিলিয়ে দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪ জনে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ২৬৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৪২ হাজার ৪৪৯ জন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সারা দেশে ৩৪৯টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৭ হাজার ৭৮৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৪২৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫২ লাখ ৭৭ হাজার ১১২টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ, সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৯৮ জনের মধ্যে ৬২ জন পুরুষ, ৩৬ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০, রাজশাহী ৬, খুলনা ৫, সিলেটে ৪, রংপুর বিভাগে ৩ এবং ময়মনসিংহে ৫। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৬, বেসরকারি হাসপাতালে ৪৬ এবং বাড়িতে ৬ মারা গেছেন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ৫৯, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২০, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৪, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬৫৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৪৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯৯ হাজার ৫৩৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার জন।