করোনায় দেশে মারা গেলেন আরও ৩৯ জন

স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত আছে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও শনাক্ত। টানা পাঁচ দিন ধরে সাড়ে তিন হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে দেশে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ৪০ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৮৬৯। ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩৬৭৪ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮০৬। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিলো ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে এক দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৯৭১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৯২২ হয়েছে। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ২২৪টি ল্যাবে ২৪ হাজার ৬৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৪টি নমুনা। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৬টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৮১৮টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ২২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ আর নারী ১৫ জন। এদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন। ২৫ জনের বয়স ছিলো ৬০ বছরের বেশি, ১০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং তিনজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিলো। মৃতদের মধ্যে ২৮ জন ঢাকা বিভাগের, পাঁচজন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুজন করে মোট চারজন রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের এবং একজন করে মোট দুজন সিলেট ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৯৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ তিন হাজার ৪৬২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯২ হাজার ৭৪৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৭১৮ জন।

 

Comments (0)
Add Comment