স্টাফ রিপোর্টার: তেরোতম নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের কাছে জমা দিয়েছে অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দশজনের তালিকা তার হাতে তুলে দেয়া হয়। রাষ্ট্রপতি নির্ধারিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য কমিশনারদের নামে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। অসুস্থ থাকার কারণে সার্চ কমিটির সভাপতি বঙ্গভবনে যাননি। ১৪ ফেব্রুয়ারি নুরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ১২তম নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পরপরই নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের শপথ অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ নেবেন নতুন কমিশন। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বঙ্গভবনের সামনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সার্চ কমিটি তাদের রিপোর্ট মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছে। তিনি সেটা গ্রহণ করেছেন। তিনি সেটা একটু যাচাই-বাছাই (এক্সামিন) করে অতি সত্ত্বর (রাষ্ট্রপতি) নির্দেশনা দেবেন।’ এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দু-এক দিনের মধ্যে তিনি (রাষ্ট্রপতি) যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সে অনুযায়ী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রজ্ঞাপন (নোটিফিকেশন) হবে।’ ১০ জনের নাম ঘোষণা হবে নাকি ৫ জনের, এমন প্রশ্নের উত্তরে খন্দকার আনোয়ার বলেন, ‘নিয়ম তো ৫ জনের নাম ঘোষণার। যে ৫ জনের নাম রাষ্ট্রপতি সিলেক্ট করবেন সেই ৫ জনের নামেই প্রজ্ঞাপন জারি হবে।’ সার্চ কমিটির সভাপতি কেন বৈঠকে ছিলেন না তা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তিনি অসুস্থ হয়েছেন তাই আসেননি।’ সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের প্রতিটি পদের বিপরীতে দুটি করে নাম রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে দেয় সার্চ কমিটি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় কমিটির সদস্যরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। সৌজন্য সাক্ষাতের মাধ্যমে সার্চ কমিটির সদস্যদের দায়িত্ব শেষ হলো। কমিটির অন্য পাঁচ সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক। কমিটির সভাপতিসহ প্রথম চারজন সদস্য পদাধিকার বলে কমিটিতে স্থান পান। শেষ দুজন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসাবে। ২৭ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রথমবারের মতো আইন প্রণয়ন করে সরকার।