স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে পালটাপালটি অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সহিংসতায় একজনের মৃত্যু, ভোটকেন্দ্রে হামলা ও সহিংসতার জন্য বিএনপিকে দায়ি করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের প্রযোজনায় জালিয়াতির ভোটগ্রহণ হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটির বলেছে, এটা নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি ও সন্ত্রাসের নির্বাচন। গতকাল বুধবার পৃথকভাবে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এসব অভিযোগ করে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। দুই দলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোগ দেখবে রিটার্নিং অফিসার। তারপরও যেসব অভিযোগ কমিশনে পাঠাবে তা কমিশনে উপস্থাপন করবো। কমিশন বললে তখন ব্যবস্থা নেবো। তবে যে কোনো অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে বলা গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোটগ্রহণ চলাকালে বুধবার বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের কাছে বিএনপির বিরুদ্ধে নালিশ করে। চিঠিতে বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ জানানো হয়। এর আগে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ করে।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের প্রধান আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছার বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের ছেলে ইমনকে ছুরিকাঘাত করেছে। বিএনপিসমর্থিত প্রার্থী ইভিএম ভেঙে ফেলেছে ও কেন্দ্র দখল করেছে।
এ বি এম রিয়াজুল কবীর কাওছার বলেন, চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের সকালবেলা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে প্যানিক সৃষ্টি করা হয়েছে, যাতে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারে। প্রায় ৪০টি ওয়ার্ডে তারা (বিএনপি) সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনে একগুচ্ছ অভিযোগ দায়ের শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এটা নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি ও সন্ত্রাসের নির্বাচন। সেই সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্র হত্যাকারী বলেও উল্লেখ করেন তিনি। রিজভী বলেন, এটা নজিরবিহীন নির্বাচন। দিনের ভোট রাতে হয়।