ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসা নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের পর পুলিশে দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে তাদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় সোপর্দ করা হয়। মারধরের শিকার মাজাহারুল ইসলাম ওরফে নাঈম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপআপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক। অন্যজন মারুফ আহমেদ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা দুজন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বেলা সাড়ে ১১টায় তাদের চতুর্থ বর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়। তারা বিভাগকে না জানিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তাদের ক্যাম্পাসে আসার খবর পেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভাগের সামনে জড়ো হয়ে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। এতে পরীক্ষাস্থলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে তাদের পরীক্ষা হল থেকে বের করে বিভাগের শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে থানায় সোপর্দ করা হয়। কক্ষে ও কক্ষের বাইরে নেয়ার সময় তাদের কয়েকজন মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সমাজকল্যাণ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আসমা সাদিয়া রুনা বলেন, ‘তারা দুজন পরীক্ষা দিতে আসছিলো। আমরা পূর্বে অবগত ছিলাম না। পরে তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল, তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। আর যারা এসব দোসরদের প্রশ্রয় দেবে, তাদেরও প্রতিহত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘ওখানে একটা মব তৈরি হয়েছিলো। বিভাগের শিক্ষকেরা প্রক্টরিয়াল বডির সহযোগিতায় দুজনকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। মামলা আছে কি না জানা নেই।’ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, বেলা দুইটার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দুজনকে থানায় নেয়া হয়। আগের মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের তালিকায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সোমবার সকালে তাদের আদালতে নেয়া হবে।