আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় ২০ জন নির্বাচিত সিআইজি সদস্যের মাঝে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। মাচা পদ্ধতিতে ছাগল পালনে ১৫ জন ও সুষম খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সোনালী মুরগি পালন প্রদর্শনীর জন্য ৫ জন নির্বাচিত সিআইজি সদস্যদের মাঝে এ উপকরণ বিতরণ করা হয়। গতকাল সোমবার প্রধান অতিথি হিসেবে সিআইজি সদস্যদের মাঝে এ উপকরণ বিতরণ করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।
মাচা পদ্ধতিতে ছাগল পালনে আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৫ জন নির্বাচিত সিআইজি সদস্যের প্রত্যেককে মাচা তৈরির উপকরণ, ৬০ কেজি গমের ভূষি, ২৪ কেজি মসুর ভূষি, দুই কেজি লবণ, এক কেজি ভিটামিক্স ডিবিসুপার, ১২টি কৃমিনাশক ওষুধ, একটি রেজিস্টার খাতা, একটি সাইনবোর্ড ও ব্রিফিং ভাতা ৩শ’ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া সুষম খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সোনালী মুরগি পালন প্রদর্শনীর জন্য ৫ জন নির্বাচিত সিআইজি সদস্যকের মাঝেও বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ৬৪ কেজি লেয়ার ফিড, ১২টি মুরগি, একটি মুরগিঘর, এক প্যাকেট ভিটামিন মিনারেল পাউডার, ১শ মি.লি. জীবানুনাশক, একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, একটি রেজিস্টার খাতা, একটি সাইনবোর্ড ও ব্রিফিং ভাতা ৩শ’ টাকা। আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল কাফির সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কালিদাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শরিয়তুল্লাহ ও শাহাদাত জামান আল বেলাল, উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা সাবু মিয়া, আবুল কায়েম, নাসির উদ্দীন প্রমুখ।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষকের উন্নতি হলেই দেশের উন্নতি হবে। মূলত এ দেশের অর্থনীতি লাঙ্গলের ফলার অর্থনীতি। তাই কৃষকের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগ নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে। সনাতন পদ্ধতিতে পশুপালনের পরিবর্তে আধুনিক পদ্ধতিতে অধিক লাভজনকভাবে পশুপালনে সকলকে উৎসাহী করে তুলছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ছাগলকে গরিবের গাভী বলা হয়। গরিব ও অসহায় মানুষ ছাগল ও হাঁসমুরগি পালন করে বাড়তি আয় করে থাকেন। যা বিপদ আপদে সবচে উপকারে আসে। মাচায় ছাগলপালনের সুবিধা বর্ণনা করে তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে ছাগলপালন করলে সর্দি-কাশি ও নিউমোনিয়া হবে না, কৃমি ও চর্মরোগ কম হবে, পশু স্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিষ্কার থাকবে এবং উৎপাদন বেশি হবে।