ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগে নৌকার প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ হাইকোর্ট স্থগিত করার পর সেই এলাকায় নির্বাচন স্থগিত করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফলে আগামী ১৫ জুন ঝিনাইদহ পৌরসভায় কোনো ভোট হচ্ছে না। ভোটের নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগে গতকাল রোববার এই আদেশ নেয়া হয়। কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান নির্বাচনের স্থগিত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে বলা হয়, প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ হাইকোর্ট এক আদেশে এক মাসের জন্য স্থগিত করার পর এই আদেশ নিয়ে আইনি জটিলতা পরিহারের লক্ষ্যে নির্বাচন স্থগিত রাখার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। গত ২জুন সেই এলাকায় নৌকার প্রার্থী আবদুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তার সমর্থকরা গত ১৮মে প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কাইয়ূম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর এবং শহরের ধোপাঘাটা ব্রিজ এলাকায় প্রচারে হামলা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা চাওয়ার পর খালেক ক্ষমা চান। এরপরও তার সমর্থকরা প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর হামলা চালায়। এ কারণে তার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়া নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপের প্রশংসা হচ্ছিলো। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে এই ধরনের সিদ্ধান্ত বিরলই বলা যায়। তবে ৬দিন পর ৮জুন হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের আদেশ এক মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা বাতিল করে যে আদেশ দিয়েছে, সেটি কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। উচ্চ আদালতের এই আদেশের পর এলাকায় গিয়ে প্রচারে ফেরেন নৌকার খালেক। কিন্তু তাকে আপাতত অপেক্ষায় রাখলো নির্বাচন কমিশন। এ ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল খালেক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আইনগত জটিলতার কারণে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচন স্থগিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। আইনগত জটিলতা পরিহার করার জন্য এই নির্বাচন স্থগিত করেছে। পরবর্তীতে কোর্টের রায় পেলে নিশ্চয়ই নির্বাচন কমিশন নতুন করে সিদ্ধান্ত নেবে। এ ছাড়া ১৫জুন বাকি যে দুটি ইউনিয়নের নির্বাচন হবার কথা সেটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে।