স্টাফ রিপোর্টার: আগামী অক্টোবর মাস থেকে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন শুরু করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেপ্টেম্বরে তপশিল ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ইউপির ভোট শেষ করার কথা ভাবা হচ্ছে। যদিও সবকিছুই করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছে ইসির নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। গত জুলাই মাসে ইউপি ভোট করার পরিকল্পনা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, আগামী ৪ অথবা ৫ সেপ্টেম্বর সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই নির্বাচনের পুনঃ তারিখ ঘোষণা করবে কমিশন। ইউপি নির্বাচনের বিষয়ে ইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আগামী অক্টোবর মাসকে নির্বাচনের জন্য উপযোগী হিসেবে ভাবা হচ্ছে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ইউপি ভোট শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। করোনাকালীন নির্বাচন করা সম্ভব নয় মর্মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। তারাও সে অনুযায়ী বর্তমান চেয়ারম্যানদেরকেই পরবর্তী ভোট না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকতে বলেছেন। তাই পরিস্থিতির উন্নতি হলে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে বললে আমরা নির্বাচন করে ফেলব। আমাদের সব প্রস্তুতিই নেয়া আছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, শোকের মাস আগস্টে সাধারণত কোনো নির্বাচন আয়োজন করে না কমিশন। সেপ্টেম্বর থেকে পুরোদমে নির্বাচন কার্যক্রম শুরু করতে হবে কমিশনের। ইসি সচিবালয় থেকে নির্বাচন উপযোগী ইউপির তালিকা প্রস্তুত করে কমিশন সভায় প্রস্তাবনা পাঠানো হচ্ছে। শিগিগরই কমিশন সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। প্রথম ধাপে স্থগিত ১৬৭টি ইউপির নির্বাচনের সঙ্গে নতুন করে আরো দ্বিতীয় ধাপের ৫০০ ইউপির তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
গত ৩রা মার্চ প্রথম ধাপের ৩৭১টি ইউপির তপশিল ঘোষণা করা হয়েছিলো। ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী ভোট হওয়ার কথা ছিলো ১১ এপ্রিল। কোভিড পরিস্থিতির কারণে ভোট স্থগিত করা হয়। পরবর্তীকালে গত ৩রা জুন স্থগিত ইউপির ভোটের তারিখ গত ২১ জুন পুনঃনির্ধারণ করা হয়। তবে সীমান্তবর্তী এলাকায় কোভিড পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার কারণে ১৬৭টি ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়। গত ২১ জুন ২০৪টি ইউপির ভোট অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে দেশে ইউপির সংখ্যা ৪ হাজার ৪৮৩টি। সর্বশেষ ২০১৬ সালে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত নবম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।