আগের ম্যাচে কোনো রকমে পার পেলেও পাকিস্তান এবার আর পারল না। ব্যাটিং খুব একটা ভালো না হলেও বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত ছিল জিম্বাবুয়ে। তাই ছোট পুঁজি নিয়েও দলটি পেল অনির্বচনীয় স্বাদ। টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম জয়।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৯ রানের অবিশ্বাস্য এক জয়ে সিরিজে সমতা এনেছে জিম্বাবুয়ে। ১১৮ রান তাড়ায় এক বল বাকি থাকতে বাবর আজমের দল গুটিয়ে গেছে ৯৯ রানে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৪৯ রান করে ১১ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারীরা। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে শুক্রবার জিম্বাবুয়ের জয়ের নায়ক লুক জংউই। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন এই পেসার।
টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ ছিল না উইকেট। মন্থর, দুই গতির উইকেটে ভুগেছে দু’দলই। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ের শুরুটা ভালো হয়নি। শন উইলিয়ামসের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া ব্রেন্ডন টেইলর ফিরে যান ৫ রানে। এক প্রান্ত আগলে রাখেন টিনাশে কামুনহুকামউই। তাকে ঘিরে ইনিংস গড়ে তুলতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা ওয়েসলি মাধেভেরে ফিরেন ১৪ বলে ১৬ রান করে। অনেকক্ষণ ক্রিজে থেকে ৪০ বলে চারটি চারে ৩৪ রান করেন ওপেনার কামুনহুকামউই। রেজিস চাকাভা ও তারিসাই মুসাকান্দার ব্যাটে একশ পার করে জিম্বাবুয়ে। একটি করে ছক্কা-চারে দুই জন মিলে দানিশ আজিজের এক ওভারে নেন ১৭ রান। শেষ তিন ওভারে চার উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে এরপর রান তুলতে পারেনি তেমন। থমকে যায় ১২০ রানের আগেই। রান তাড়ায় পাকিস্তানের শুরুটাও ছিল সাবধানী। পাওয়ার প্লেতে মোহাম্মদ রিজওয়ানের উইকেট হারিয়ে তারা করে কেবল ২৬ রান। টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ৬ ওভারে দলটির সর্বনিম্ন। ফখর জামান ও মোহাম্মদ হাফিজকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন লেগ স্পিনার রায়ান বার্ল। প্রায় একাই লড়াই চালিয়ে যান বাবর। জংউইকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে থামেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ৪৫ বলে করেন ৪১ রান। তার বিদায়ের পর আর পেরে উঠেনি পাকিস্তান। দুই ওপেনারের বাইরে দুই অঙ্কে যেতে পারেন কেবল আজিজ (২৪ বলে ২২)। ২১ রান তুলতে শেষ ৭ উইকেট হারানো পাকিস্তান থমকে যায় একশর আগেই। আগামী রোববার একই ভেন্যুতে হবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১১৮/৯ (কামুনহুকামউই ৩৪, টেইলর ৫, মারুমানি ১৩, মাধেভেরে ১৬, বার্ল ৩, চাকাভা ১৮, মুসাকান্দা ১৩, জংউই ৭, মাসাকাদজা ০, মুজারাবানি ১*, এনগারাভা ১*; হাসনাইন ৪-০-১৯-২, ফাহিম ২-০-১০-১, আরশাদ ৪-০-১৬-১, রউফ ৩-০-১০-১, উসমান ৪-০-২৮-১, আজিজ ৩-০-২৯-২)।
পাকিস্তান: ১৯.৫ ওভারে ৯৯ (রিজওয়ান ১৩, বাবর ৪১, ফখর ২, হাফিজ ৫, আজিজ ২২, আসিফ ১, ফাহিম ২, উসমান ০, রউফ ৬, হাসনাইন ০*, আরশাদ ০; মুজারাবানি ৪-০-২৪-১, এনগারাভা ৩-০-১০-১, জংউই ৩.৫-০-১৮-৪, মাধেভেরে ৩-০-১৬-০, বার্ল ৪-০-২১-২, মাসাকাদজা ২-০-৯-০)।
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা। ফল: জিম্বাবুয়ে ১৯ রানে জয়ী।