জীবননগর ব্যুরো: ৮০ ও ৯০ দশকের সাড়া জাগানো কৃতি ফুটবলার জীবননগরের আবুল কাশেম (৬৪) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে….রাজেউন)। গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে জীবননগর ক্রীড়াঙ্গণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন মহল থেকে গভীর শোক প্রকাশসহ শোকসন্তুপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়েছে। রাতেই স্টেডিয়ামে নামাজে জানাজা শেষে তাকে স্টেডিয়াম কবরস্থানে শোকাবহ পরিবেশে দাফন করা হয়।
জীবননগর নারায়ণপুর মোড়ের মৃত ওলি মোহাম্মদের ছেলে আবুল কাশেম ছিলেন ছোটখাটো টাইপের একজন হাসিখুশি মানুষ। ফুটবল মাঠে তিনি ছিলেন অত্যান্ত ক্ষিপ্র গতিসম্পন্ন একজন মিডফিল্ডার। ছোটখাটো হওয়াতে তিনি প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের চতুরতার সাথে ডজ দিয়ে গোল করার জন্য তার বিশ^স্থ সহচর কিংবদন্তী ফুটবলার মোজাম্মেল হকের পায়ে বল তুলে দিতেন। আনায়সে গোল করতেন মোজাম্মেল হক। মাঠের দর্শকরা তাকে শিয়ালে ঝুলের কাশেম বলেও ডাকতেন। তার বিশ^স্থ সহচরদের মধ্যে মোজাম্মেল হক ছাড়াও ছিলেন সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ অমল, উথলী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, মরহুম এহিয়া খান, মরহুম পৌর চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, মরহুম পৌর কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ, হারেজ উদ্দিন প্রমুখ। দীর্ঘ দুই দশক তিনি জীবননগর ছাড়াও দর্শনা, দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, গাংনী, মেহেরপুর, মিরপুর, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া, মহেশপুর, কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ, শৈলকুপা, ঝিনাইদহের ফুটবল মাঠে দাপটের সাথে খেলে দর্শক মাতিয়েছেন। হয়েছিলেন দর্শক নন্দিত খেলোয়াড়। তিনি বিআরডিবিতে চাকরি করতেন। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে খেলোয়াড় সংগঠক হিসেবে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি ছিলেন এক পুত্র সন্তানের জনক। রাতে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত নামাজে জানাজায় তার দীর্ঘ দুই দশকের খেলোয়াড় বিশ^স্থ সঙ্গীদের মধ্যে আব্দুল লতিফ অমল, মোজাম্মেল হক, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আবুল কালাম আজাদ, নাসির উদ্দিন, আব্দুস সামাদ, শাহজাহান কবীরসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা ও কাজী মামুনুজ্জামান আদুন অংশগ্রহণ করেন। কৃতি এ ফুটবলারের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহল হতে গভীর শোক প্রকাশসহ শোকসন্তুপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়েছে।