আবাহনীর বিপক্ষে মাঠের ক্রিকেটে শুক্রবার সাকিব আল হাসান যে অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তাতে তার শাস্তি বলতে গেলে নিশ্চিত। একের পর এক অক্রিকেটীয় কাণ্ড ঘটিয়ে গেছেন তিনি।
প্রথমে নিজের ওভারে চলাকালীন স্ট্যাম্পে লাথি মারলেন, আম্পায়ারের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করলেন। এর পর দৌড়ে এসে স্ট্যাম্প উপড়েও ফেললেন। তিন স্ট্যাম্পই মাটিতে আছাড় মারলেন। আম্পায়াড়ের দিকে রাগত স্বরে কথা বললেন। দৌড়ে এসে তার সতীর্থরা পরিস্থিতি সামাল না দিলে ব্যাপারটি আরো খারাপের দিকে গড়াত। এতে ক্ষান্ত হননি তিনি। সবশেষ আবাহনী ডাগআউটের সামনে কোচ সাবেক তারকা খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গেও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা গেছে সাকিবকে। এতো সব কাণ্ডের পর সাকিব যে শাস্তি পেতে যাচ্ছেন তা অনেকটাই অনুমেয়। তবে কী হতে পারে সেই শাস্তি তা নিয়ে শুক্রবার বিকাল থেকেই সরগরম ক্রিকেটমহল। এখন ভক্ত-সমর্থকদের মনে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে-কী শাস্তি হবে সাকিবের?
জানা গেছে, সাকিবের ভাগ্য এখন ম্যাচ রেফারির হাতে। রাতেই ম্যাচের দুই আম্পায়ার ইমরান পারভেজ ও মাহফুজুর রহমান এবং ম্যাচ রেফারি মোরশেদুল আলমের প্রতিবেদন জমা দেবেন সংশ্লিষ্ট জায়গায়। এরপর সাকিবের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে তার আগে ম্যাচ রেফারি মোরশেদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে সাকিবের সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়ে জানান। তিনি জানান, মূলত ম্যাচ আম্পায়ারদের রিপোর্টের ওপরই নির্ভর করছে সাকিবের কি শাস্তি হবে। যদি আচরণবিধির ‘লেভেল টু’ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন তারা, তবে এই অপরাধের শাস্তি দুই ম্যাচ কিংবা কমপক্ষে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা এবং আর্থিক জরিমানা। আর যদি ‘লেভেল ফোর’ ভঙ্গের অভিযোগ আনেন, তবে মোহামেডান অধিনায়ক বড় বিপদে পড়বেন। যার শাস্তি কমপক্ষে পাঁচ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা।