মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও চূর্ণ হলো ভারত। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারের স্বাদ পেল বিরাট কোহলির দল। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১০ রান করে কোহলিরা। জবাবে ৩৩ বল বাকি থাকতেই ২ উইকেট হারিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচটিকেই ভাবা হয়েছিল এবারের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল।
১১১ রানের লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওপেন করতে নামেন মার্টিন গাপটিল ও ডারিল মিচেল। চতুর্থ ওভারে বুমরাহর ডেলিভারিতে শার্দুল ঠাকুরের হাতে ধরা পড়েন গাপটিল। ৩ বাউন্ডারিতে ১৭ বলে ২০ রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ৪৪ রান তুলে নিউজিল্যান্ড, যেখানে ভারতের স্কোর ছিল মাত্র ৩৫ রান। ৭ ওভার শেষেই দলীয় ৫০ পার হয় নিউজিল্যান্ড।
দলীয় ৯৬ রানে যখন জয় মাত্র ১৫ রান দূরে সেই মুহূর্তে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির দোরগোড়া থেকে ফিরলেন মিচেল। বুমরাহর বলে লোকেশ রাহুলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৩৫ বলে ৪৯ রান করে আউট হন মিচেল। বিদায়ের আগে উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৭২ রানের জুটি গড়েন তিনি।
এরপর নতুন ব্যাটসম্যান কনওয়েকে নিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন উইলিয়ামসন। ৩১ বলে ৩৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন উইলিয়ামসন। অন্যদিকে ৪ বলে ২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন কনওয়ে। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ভারত। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ইশান কিশান। ৪ বলে ৮ রান করেন তিনি। এরপর ষষ্ঠ ওভারে লোকেশ রাহুলকে হারিয়েছে ভারত। টিম সাউদিকে পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ হয়েছেন লোকেশ রাহুল। ১৬ বলে ১৮ রান করেন তিনি। পাওয়ারপ্লেতে ভারতকে হাত খুলে মারার সুযোগ দেননি কিউই বোলাররা।
অষ্টম ওভারে রোহিত শর্মাকে ফেরালেন ইশ সোধি। ১ চার ও ১ ছক্কা ১৪ বলে ১৪ রান করে গাপটিলের তালুবন্দী হন রোহিত। দলীয় ৪৮ রানে কোহলিকে আউট করে বড় সাফল্য পায় নিউজিল্যান্ড। ১৭ বলে ৯ রান করে বোল্টের হাতে ধরা পড়েন ভারত অধিনায়ক।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে পন্থ-পান্ডিয়ার ব্যাটে আশা দেখে ভারত। কিন্তু ২২ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন পন্থ। ১৯ বলে ১২ রান করেন তিনি। ভারতের ব্যাটিং দেখে আজ মনে হয়েছে বাউন্ডারি মারতেই যেন ভুলে গেছেন তারা। ষষ্ট ওভারের প্রথম বলে ইশ সোধিকে বাউন্ডারি মেরেছিলেন লোকেশ রাহুল। এরপর ৭১ বল পর সতেরোতম ওভারের প্রথম বলে হার্দিকের ব্যাটে বাউন্ডারি পায় ভারত।
রবিন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় স্কোরটা একশো পার করেন হার্দিক। তিনি ফেরেন ব্যক্তিগত ২৩ রানে। এদিকে শেষ পর্যন্ত খেলে যান জাদেজা। ১৯ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৬ রানে থাকেন অপরাজিত। এছাড়া শূন্যরানে মাঠ ছাড়েন মোহাম্মদ শামি।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রানের খরচায় সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া ৪টি করে ওভার করে ১৭ রানে দুটি উইকেট নেন ইশ সোদি। আর টিম সাউদি এবং অ্যাডাম মিলনে একটি করে উইকেট পেয়েছেন।