মাথাভাঙ্গা মনিটর: অবসরের ঘোষণাটা সাধারণত আসে টুর্নামেন্টের আগে, কিংবা টুর্নামেন্টের পর। কিন্তু আসগর আফগান এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথেই দিলেন ঘোষণা। নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটাই ছিল তার শেষ। শেষ ম্যাচে দারুণ এক জয়ই পেলেন তিনি। নামিবিয়াকে তার দল আফগানিস্তান হারিয়ে দিয়েছে ৬২ রানে।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করছিলেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার হজরতউল্লাহ জাজাই আর মোহাম্মদ শাহজাদ। পাওয়ার প্লে তেই দল তুলে ফেলে ৫০। এরপর একটু ছন্দপতন, জাজাই আর রাহমানউল্লাহ গুরবাজকে দ্রুতই ফেরায় নামিবিয়া।
তবে অপর দিকে শাহজাদ তার দাপট ধরে রেখেছিলেন। দুই শীর্ষ ব্যাটারের বিদায়ের পর তার ব্যাটই আফগানদের রানের চাকা সচল রেখেছিল বেশ কিছুক্ষণ। বিদায়ের আগে তিনি করেন ৪৫ রান। এরপর নাজিবুল্লাহ জাদরান উল্লেখযোগ্য করার আগেই ফিরেছেন। ফলে আফগানরা পড়ে দারুণ বিপদেই। এরপর অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী আর আসগর আফগানের জুটিতে লড়াইয়ে ফেরে আফগানরা। ১৯তম ওভারের শেষ বলে ফেরার আগে তিনি করে ফেলেন ২৩ বলে ৩১ রান। তিনি ফিরলেও নবী ঠিকই ফিরেছেন ইনিংস শেষ করে। করেছেন ১৭ বলে ৩২ রান। তাতেই প্রতিপক্ষকে ১৬১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় আফগানিস্তান।
এর আগে নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড আর স্কটল্যান্ডকে চমকে দিয়েছিল নামিবিয়া। তাই আফগানিস্তানেরও ভয় ছিল বৈকি! তবে শুরু থেকে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সে শঙ্কাকে আর বাস্তবতায় রূপ নিতে দেয়নি আফগানরা। ১৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়ার কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে অলরাউন্ডার ডেভিড ভিসের ব্যাট থেকে। এছাড়া কেউই ২০ এর ঘর পার করতে পারেননি। এমন ব্যাটিংয়ে অবধারিত হারের কবলেই পড়েছে দলটি। হেরেছে ৬২ রানে। আর আফগানরাও তাদের সাবেক অধিনায়ককে দারুণভাবেই জানায় বিদায়ী শুভেচ্ছাটা।
এই জয়ের ফলে আফগানরা পয়েন্ট টেবিলে বড় এক লাফই দিয়েছে। বর্তমানে পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে আছে দলটি। নেট রান রেটে এগিয়ে আছে অনেক। ফলে শেষ দুই ম্যাচ থেকে একটি জয়ও দলটিকে নিয়ে আসতে পারে সেমিফাইনালের হিসেব নিকেশে। নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান।