চার ম্যাচ নয়, তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ হলেন সাকিব আল হাসান। একই সঙ্গে ৫ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে জাতীয় দলের তারকা এ ক্রিকেটারকে। শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে অসদাচরণ করায় সাকিবকে এ শাস্তি দেয়া হয়। মোহামেডানের এ অধিনায়ক শাস্তি মেনে নেওয়ায় এ ঘটনায় আর কোনো শুনানির প্রয়োজন নেই।
শনিবার দুপুর দুইটার দিকে ম্যাচ রেফারি মোরশেদুল আলমের পাঠানো শাস্তির নোটিশ হাতে পান সাকিব। চিঠিতে সাকিবের বিরুদ্ধে লেভেল-৩ পর্যায়ের আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ এনে তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও ৩ ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়। এর আগে মোহামেডান ক্লাবের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, সাকিবকে চার ম্যাচের জন্য বহিষ্কার করা হতে পারে। শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে সাকিবের আউটের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে মেজাজ হারিয়ে সাকিব নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তের স্টাম্পে লাথি মেরে ভেঙে দেন। এরপর তুমুল বৃষ্টি নামলে আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান খেলা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। তিনি যখন মাঠকর্মীদের কাভার আনার ইশারা দিচ্ছেন, তখন সাকিব আম্পায়ারের দিকে এগিয়ে গিয়ে তিনটি স্টাম্পই তুলে উইকেটের ওপর ছুড়ে মারেন। এমনকি বৃষ্টির সময়ে আবাহনীর ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে সাকিব কিছু বললে ক্ষেপে গিয়ে তেড়ে আসেন আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। তখন মোহামেডানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার সাকিবকে জাপটে ধরে থামান।