মিরাজুল ইসলাম মিরাজ: ভিটামিন-ই এবং ফাইবারসমৃদ্ধ বেগুনি জাতের ধান চাষ করেছেন দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের তরুণ কৃষক আবুল বাসার। এই প্রথমবার তিনি উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর মাঠে ওই নতুন জাতের ধানের চাষ করেছে।
জানাগেছে, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইনে যশোর থেকে বীজ কিনে দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের মাঠে বেগুনি রংয়ের ধানের চাষ করেছে তরুণ কৃষক আবুল বাসার। কৃষক আবুল বাসার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের নাজিম উদ্দীনের ছেলে। সাধারণত অন্য জাতের ধান চাষ থেকে এ ধানে রাসায়নিক-কীটনাশক পরিমাণে কম লাগে। তুলনামূলকভাবে অন্য জাতের ধান থেকে এ জাতের ধান চাষে খরচ অনেক কম। এ জাতের ধান কৃষকের ঘরে তুলতে প্রায় ৯০ দিন সময় লাগে।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তরুণ চাষি আবুল বাসার জানান, আনলাইনে ভিডিও দেখে যশোর থেকে তিনশত টাকা দিয়ে এক কেজি বেগুনী রংয়ের ধানের বীজ ক্রয় করি। পরে সে বীজ থেকে চারা তৈরি করে প্রাথমিকভাবে ৬ কাঠা জমিতে রোপণ করি। আশা করছি ভালো ফলন পাবো। এই জাতের ধানে ভালো ফলন পেলে চাষ আরও বৃদ্ধি করা হবে। এই ধান চাষে খরচ খুবই কম। এ পর্যন্ত ৬ কাঠা জমিতে আমার আনুমানিক ১ হাজার ৫ টাকা খরচ হয়েছে। ধান ওঠা পর্যন্ত আরও দেড় হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে।
দামুড়হুদার হাউলী ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, তরুণ উদ্যোক্তা আবুল বাসার একজন ভালো চাষি। তিনি নতুন নতুন জাতের ফসলাদি চাষ করে থাকে। আমরা সবসময় তার বেগুনি রংয়ের ধানেরক্ষেত পর্যবেক্ষণ করছি। এই জাতের বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে পোকা এবং রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ওই কৃষকের রোপণকৃত বেগুনি জাতের ধানের ক্ষেত আমরা পরিদর্শন করে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি। তবে এখনো পর্যন্ত ওই জাতের ধানের তেমন ভালো ফলাফল পাওয়া যায়নি। যতখন পর্যন্ত ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ওই জাতের ধানকে স্বীকৃতি না দিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কৃষকদের ওই জাতের ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করতে পারছি না।