স্টাফ রিপোর্টার: প্রয়াত সহকর্মীদের স্মরণ করে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে তা পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। ফলে এ অঙ্গণে আরও কীর্তিমানের আবির্ভাব হবে। প্রয়াতদের কর্মের যে সুফল অনুজরা ভোগ করে তা বিস্মৃত হলে সে জাতি কলঙ্কিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের প্রয়াত সদস্য ও দাতা সদস্যদের স্মরণসভা এবং দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে এ স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি আজাদ মালিতা। অতিথি ছিলেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন ও নাজমুল হক স্বপন।
স্মরণসভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি বলেন, প্রয়াতদের ত্যাগের ফসল আজকের চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব। তাদের দেখানো পথেই আমরা মসৃণভাবে পথ চলছি। এজন্য আমরা তাদের কাছে চির ঋণী।
সমাপনী পর্বে স্মরণসভার সভাপতি সরদার আল আমিন বলেন, আমরা আমাদের প্রয়াতদের স্মরণ করার মধ্যদিয়ে নিজেদেরকে স্মরণীয় করতে চাই। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম আরও ভালোভাবে এ প্রজন্মের প্রয়াতদের স্মরণ করে।
জামান আখতারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন শেখ সেলিম, এমএ মামুন, শাহ আলম সনি, আবুল হাশেম ও কামরুজ্জামান চাঁদ। সভায় উপস্থিত প্রয়াত সদস্যদের স্বজনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দাউদ হোসেনের ছেলে মনিবুল হাসান পলাশ।
অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের জন্মলগ্ন থেকে এ যাবৎ যেসব সদস্য এবং দাতা সদস্য প্রয়াত হয়েছেন তাদের গভীরভাবে স্মরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রয়াত সদস্য আতিয়ার রহমান, মোহাম্মদ আলী, দাউদ হোসেন, একেএম মুসা, ওয়াসিকুর রহমান জোয়ার্দ্দার, ফিরোজ খান, সাইফুল ইসলাম পিনু, নজির আহম্মদ, ওদুদ হোসেন, তানজীর আহম্মেদ এবং প্রয়াত দাতা সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী গেন্দু মিয়া, সাবেক সংসদ সদস্য হাজি মোজাম্মেল হক, অধ্যাপিকা বশিরা মান্নান ও এমএস জোহার নাম স্মরণ করা হয়। সবশেষে প্রয়াতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।