স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় নোভেল করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে বাড়িতে ৪৪ জন, হাসপাতালে ৮জন আইসোলেশনে রয়েছেন। দুজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ আরও ২৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে।
মঙ্গলবাল ছিলো মহান বিজয় দিবস। এদিন চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেনি। ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার কোনো রিপোর্টও পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ ৭ হাজার ১শ ৯০ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে। যার মধ্যে পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৬ হাজার ৯শ ৮৫ জনের। শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬শ ২৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫শ ৩১ জন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৩জন। গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা ৮জনের মধ্যে সদরের ৪জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ২জন ও দামুড়হুদা উপজেলার ২জন। বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা ৪৪জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা শহরসহ সদর উপজেলার ২৪জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৬জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ৭জন ও জীবননগর উপজেলায় ৭জন। কয়েকদিন আগে যে দুজনকে ঢাকায় রেফার করা হয় তাদের বাড়িও জেলা সদরে।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা শীতে নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়বে। বাড়ছেও। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। সারাদেশের চিত্র প্রায় অভিন্ন। গতকালও দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে সারাদেশে মারা গেছেন ৩৭জন। নোভেল করোনা ভাইরাস ভয়াবহ ছোঁয়াচে। সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে কিম্বা আক্রান্ত ব্যক্তির ছোয়া কিছুর মাধ্যমে ছড়ায় এই ভাইরাস। ফলে মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পুনঃপুনঃ আহ্বান জানানো হচ্ছে। বাধ্য করার জন্য প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে। এরপরও হাট বাজারে বিপনী বিতানগুলোতে তেমন একটা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নজির মিলছে না। অপরদিকে সংক্রমণ হচ্ছেই।