বাবুর্চি আপন দুই বোনকে রাতভর গণধর্ষণ : একজন গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গা বোয়ালিয়ায় রান্না করার কথা বলে মোবাইলেফোনে ডেকে নেয়ার পর ধর্ষণ 

বেগমপুর প্রতিনিধি: রান্নার কথা বলে মোবাইল ফোনে চুয়াডাঙ্গা বোয়ালিয়া গ্রামের সুমন ডেকে নেয় আলমডাঙ্গার বড়গাংনী এবং দামুড়হুদা জয়রামপুর গ্রামের দুই বোন বাবুর্চিকে। অভিযোগ উঠেছে বাড়িতে ডেকে এনে তাদেরকে রাতভর ৫ জন মিলে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হলে থানা পুলিশ দিনভর অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে সুমন নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ধর্ষণের শিকার দু’জনই রয়েছে পুলিশ হেফাজতে। আজ বুধবার তাদের ডাক্তারী পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অভিযোগে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের রইচউদ্দিন পুটে বিশ্বাসের ছেলে সুমন (২৬) রান্নার কাজ আছে বলে আলমডাঙ্গা বড়গাংনী ও দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর কুমারিদহপাড়ার জনৈক নারী বাবুর্চি আপন দু’বোনকে মোবাইল ফোনে নিজ বাড়িতে ডেকে নেয়। অভিযোগ উঠেছে সোমবার রাতে তাদেরেকে মিলনের বাড়িতে ডেকে নিয়ে সুমন, একই গ্রামের আলতাব ম-লের ছেলে মিলন (৩৫), মৃত ইছারদ্দিনের ছেলে সাগর (৪০), নেহালপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৫) ও অজ্ঞাত একজন রাতভর পালাক্রমে তাদেরেকে গণধর্ষণ করে।

পরের দিন গতকাল মঙ্গলবার ধর্ষিতারা দর্শনা থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। দর্শনা থানার ওসি মাহাব্বুর রহমান কাজল, ওসি (তদন্ত) শেখ মাহাবুবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দিনভর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সুমনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। গ্রেফতারকৃত সুমনকে এবং ধর্ষণের শিকার দু বোনকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। আজ বুধবার ধর্ষিতাদের ডাক্তারী পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গেছে। একই সাথে সংশ্লিষ্ট মামলায় সুমনকে আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।

গ্রামবাসীর অনেকেই বলেছে, বিষয়টি ধর্ষণ না অন্যকিছু তা যেনো পুলিশ খতিয়ে দেখে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আরও তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

 

Comments (0)
Add Comment