স্টাফ রিপোর্টার: করোনায় আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফেরদৌসওয়ারা সুন্না মারা গেছেন। (ইন্না… রাজেউন)। বুধবার (১৬ জুলাই) রাত সোয়া ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্তে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ জনে। আরও দুজন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হলেও তাদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় আরও ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। বুধবার রাতে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে ২১ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। এর ৮ জনের নেগেটিভ। নতুন ১৩ জন শনাক্তের মধ্যে সদর উপজেলার ৭জন, জীবননগর উপজেলার ৫জন ও দামুড়হুদা উপজেলার ১জন রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার একজন উপ সহকারী মেডিকেল অফিসার বলে জানা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বুধবার (১৫ জুলাই) আরও ৩৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পরীক্ষাগারে প্রেরণ করেছে। এরাও করোনা উপসর্গে ভুগছেন। ফলে সন্দেহভাজন হওয়ায় এদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগে নমুনা পরীক্ষার হার অনুপাতে অক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ছিলো ১২/১৩ শতাংশ। বুধবার ২১ জনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ জনে দাঁড়ানোর খবর দুশ্চিস্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ হিসেবে আক্রান্তের হার ৬১ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গায় নতুন ১৩ জনের করোনা আক্রান্ত দিয়ে মোট কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩শ ৩৬ জনে। বুধবার জেলায় আরও ৩জন সুস্থ হয়েছেন। ফলে মোট সুস্থ হলেন ২শ ৪জন । বুধবার শনাক্ত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৭ জনের মধ্যে জেলা শহরের বাজারপাড়ার একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪জন, রেলপাড়ার একজন, বেলগাছিল একজন ও উপ সহকারী মেডিকেল অফিসিার একজন। তিনি সম্ভবত ইমাজেন্সিপাড়ার বাসিন্দা। জীবননগর উপজেলার ৫ জনের মধ্যে ধোপাখালীর ১জন, জীবননগর পোষ্টঅফিসপাড়ার ২ জন, হাসপাতালপাড়ার ১জন, থানা পাড়ার একজন।
রাত আনুমানিক সোয়া ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের গুলশানপাড়ার বাসিন্দা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস ওয়ারা সুন্না মারা যান। তিনি ৪ দিন আগে অসুস্থ হন । পরে তিনি নমুনা দেন। পরীক্ষায় করোনা তথা কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। তাকে বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় তার সাথে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার দেখা করনে। শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। তখনও তিনি অতোটা অসুস্থ ছিলেন না। রাত সোয়া ১০টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়েন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুকালে তিনি দু ছেলে এক মেয়ে ও স্ত্রীসহ বহুগুণগ্রাহী রেখে গেছেন।