গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর পীরতলা-নওদাপাড়া সড়ক নির্মানের একদিন পরই সামান্য হাতের ছোঁয়ায় উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার আর কাজ তদারকীর অভাবে এমনটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনগন ও জনপ্রতিনিধিরা। শনিবার (২৭ জুন) সরেজমিন পরিদর্শন শেষে কাজ বন্ধের নির্দেশ দিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজামান খোকন। স্থানীয় জনদাবী ক্ষোভ ও এমপির নির্দেশে রাস্তার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মিত অংশ পুনঃনির্মানের কথা জানিয়েছেন গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ।
জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সড়ক রক্ষণাবেক্ষনের অর্থায়নে গাংনীর পীরতলা-নওদাপাড়া ৩৩০০ মিটার সড়ক পুণঃনির্মাণের কাজ হাতে নেয় উপজেলা প্রকৌশলী অফিস। যার ব্যয় ধরা হয় এক কোটি ১৬ লাখ টাকা । ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়ার ফারুক ট্রেডার্স কাজটি বাস্তবায়ন করে। নির্মাণ কাজে বিটিসি বিটুমিন ব্যবহার করার কথা থাকলেও ইরানী বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও প্রাইম কোড ব্যবহারের পর বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হবার পর নতুন করে প্রাইমকোড ব্যবহার করা হয়নি। ফলে হাতের ছোঁয়ায় কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। রাস্তায় নিম্মমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। সড়কের পাশে তিনফুট মাটি ভরাটের কথা থাকলেও তা করা হয়নি। স্থানীয় লোকজন কাজে বাঁধা দিলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের হুমকী প্রদান করে। বিষয়টি জানার পর গতকাল শনিবার এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন রাস্তা পরিদর্শনে যান ও সত্যতা খুজে পান। অবশেষে উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ শেখ নষ্ট ও নিম্নমানের রাস্তা পুনঃনির্মানের আশ্বাস দেন। উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ শেখ জানান, রাস্তার কাজে কোন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। প্রাইমকোড ব্যবহারের পর পানিতে ধুয়ে যাবার ফলে রাস্তার কিছু অংশে কার্পেটিং উঠে গেছে। এ অংশে আবারো কাজ করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।
মেহেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য বিষয়টি নিয়ে জানালে উনার সাথে আমরা পুরো রাস্তা পরিদর্শন করি। সড়কের দুপাশে মাটি দেওয়া হয়নি এবং কিছু স্থানে কার্পেটিংয়ে সমস্যা হওয়ায় উঠে যাচ্ছে। তাত্ক্ষনিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি সড়কের দুপাশে তিনফিট মাটি নিশ্চিত করে এবং কার্পেটিংয়ে যেসব জায়গায় সমস্যা হয়েছে সমাধান করতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, আমার এলাকায় কোন প্রকার নিম্নমানের কাজ করতে দিব না। সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে মান সম্মত কাজের জন্য। সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী কাজ না হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।