ভালাইপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর মোড়ে সাথী সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নামে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঋণ কার্যক্রম ও পণ্য সাপ্তাহিক কিস্তির বিতরণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। সরকার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মাঠ পর্যায় থেকে লোনের টাকা না তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে গত এক মাসের মাথায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক, কারো বেতন দেবে না ঘোষণা দিলে, সংস্থাটির ৩টি ব্রাঞ্চের কর্মীরা একত্র হয়ে ভালাইপুর মোড়ের অবস্থিত প্রধান কার্যলয়ে উপস্থিত হয়ে অফিস ঘেরাও করে বকেয়া বেতনসহ ঈদ উৎস দেয়ার দাবি জানাতে থাকে।
জানা গেছে, সাথী সামাজিক উন্নয়ন সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরে ভালাইপুর মোড়ে প্রধান কার্যালয় করে জেলার ভগিরতপুর ও আট কবর এলাকায় আরও দুটি ব্রাঞ্চ খুলে দীর্ঘদিন ধরে ঋণ কার্যক্রম ও পণ্য সাপ্তাহিক কিস্তিতে টাকা তুলতে এ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো।
এদিকে সরকারিভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মাঠ পর্যায় থেকে লোনের টাকা না তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে গত এক মাসের মাথায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মোনাজাত হোসেন, কারো বেতন দেবে না ঘোষণা দিলে, সংস্থাটির ৩টি ব্রাঞ্চের কর্মীরা একত্রে সংস্থার প্রধান কার্যালয় ভালাইপুর মোড়ে উপস্থিত হয়ে অফিস ঘেরাও করে বকেয়া বেতনসহ ঈদ উৎস দেয়ার দাবি জানাতে থাকে। বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাজ না দেয়ার বিষয়ে সংস্থার প্রধান কার্যালয় ম্যানেজার হায়দার আলী ও ভগিরথপুর ব্রাঞ্চের ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারের সাধারণ ছুটি ভোগ করেছি অথচ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কোনো নোটিশ ছাড়াই ছুটি চলাকালীন বেতন ও ঈদ উৎস দেবে না বলে জানান। সংস্থার আরো ১২-১৩ জন কর্মী দাবী করেন যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের বেতন বা ঈদ উৎস না দেবে আমাদের আন্দোলন অব্যহত থাকবে।
এদিকে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মোনাজাত হোসেন বলেন, যেহেতু আমার সংস্থাটি ছোট সংস্থা, ঋণের টাকা ও সাপ্তাহিক কিস্তিতে পণ্যবিক্রির লভ্যাংশের টাকা দিয়ে তাদের বেতন দিতাম। এদিকে সরকারিভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মাঠ পর্যায় থেকে লোনের টাকা না তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিলে আমরা কোনো টাকা ফিল্ড থেকে আদায় করছি না। যার ফলে আমার পক্ষে বেতন দেয়া সম্ভব নয়। তারপরও ঈদ উৎসব ভাতা দেয়ার বিষয়ে ভেবে দেখবো। তিনি আরো বলেন, গত মাসের বেতন দিয়ে এই পরিস্থিতিতে বেতন দিতে পারবো না জানিয়ে সকলকর্মীকে অন্যকোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ খোজার পরামর্শ দেন।