বাড়ির সামনে ৬০ ফুট উঁচু নারকেল গাছ। সালোয়ার-কামিজ পরা এক গৃহবধূ ওই গাছে উঠে বসে আছেন। কিন্তু অজ্ঞান। মাথা ঝুলে আছে গাছের ডাগোরে (নারকেল গাছের ডাল)। দেখে গ্রামের মানুষ হতভম্ব। খবর দেওয়া হলো দমকল বাহিনীর সদস্যদের। ছুটে এলেন তারা। দুজন সদস্য ঘাড়ে করে গাছ থেকে নামিয়ে আনলেন তাকে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বেগমপুর গ্রামে।
ওই নারী গ্রামের হাসান আলীর স্ত্রী তাছলিমা খাতুন (২২)। রাতেই ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তাকে দেখার জন্য এলাকার লোকজন ভিড় করেন হাসানের বাড়িতে।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জমির জামির মো. হাসিবুস সাত্তার বলেন, গভীর রাতে ওই নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ভোরের দিকে তিনি বাড়ি চলে গেছেন। তিনি বলেন, মানসিক সমস্যার কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকে। এ ধরনের রোগীরা মানসিক শক্তি দিয়ে যে কোনো কাজ করতে পারে। গ্রামের মেয়ে, গাছে ওঠার অভ্যাস আগে থেকে থাকতে পারে। ওই নারী গাছে উঠেছেন মানসিক শক্তির জোরে। গ্রামের লোকজন কুসংস্কারবশত জিন-ভ‚তের আসর বলে প্রচার করে থাকেন। এর কোনো ভিত্তি নেই।
মহেশপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রমেশ কুমার সাহা জানান, ফায়ারম্যান শামিউল ইসলাম ও ড্রাইভার মামুনার রশিদ রশি বেঁধে পাশের ছাদে ওঠেন। এরপর নারকেল গাছে মই লাগানো হয়। ধীরে ধীরে রশি বেঁধে কাঁধে করে নামানো হয় তাকে। মাথায় পানি দেওয়ার কিছু সময় পর জ্ঞান ফিরে আসে তার। মাঝে মাঝে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন বলে জানতে পেরেছেন তারা। স্বামী ও গ্রামবাসীর ধারণা, জিনের আসরের কারণে এমনটি করেন ওই গৃহবধূ।