মিরাজুল ইসলাম মিরাজ: দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক সাজিদ হাসানের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক সাজিদ হাসান দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামের মৃত ওহিদুল ইসলামের ছেলে ও দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী শিক্ষক সাজিদ হাসানের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা রেকর্ড করেন দামুড়হুদা মডেল থানা। ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের স্কুলছাত্রী ২০২০ সালে দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক সাজিদ হাসানের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ওই সময় ভুক্তভোগী ছাত্রী শিক্ষক সাজিদ হাসানের নিকট নিয়মিত প্রাইভেট পড়তো। সে সময় থেকে প্রভাষক সাজিদ হাসান তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের গত ১মার্চ বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলা সদরের গুলশানপাড়াস্থ জনৈক কুতুব মাস্টারের বাড়ির নিচতলায় শিক্ষক সাজিদ হাসানের ভাড়া নেয়া প্রাইভেট পড়ানোর রুমের মধ্যে আবারো বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এরপর ওই ছাত্রী তাকে বিয়ে করতে বললে নানা রকম টালবাহানা করতে থাকে শিক্ষক সাজিদ হাসান। এক পর্যায়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে শিক্ষক সাজিদ হাসানের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। দামুড়হুদা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাহমিদা রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে মিটিং করে তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বেও তার বিরুদ্ধে এমন একটি ঘটনায় মেবাইল কোর্টে তাকে সাজা দেয়া হয়েছিলো। সে সময় তার বিরুদ্ধে রেজুলেশন করা হয়। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দামুড়হুদা উপজেলার দ্বাদশ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তৎকালীন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল হাসান মোবাইল কোর্টে শিক্ষক সাজিদ হাসানকে ২০হাজার টাকা জরিমানা করেন। সে সময় অভিযুক্ত শিক্ষক সাজিদ হাসান জরিমানার অর্থ নগদে পরিশোধ করে মুক্ত হন এবং পরবর্তীতে এ ধরনের কার্যক্রম করবে না বলে মুচলেকা দেন।