মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর জেলায় একমাত্র খায়রুল আলম নামের সাংবাদিক ১ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন। জেলায় একজনের নাম থাকলেও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা অজানা। নেই কোনো মিডিয়ার নাম। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দেয়া থাকলেও তা উক্ত নামের সাথে মেলেনি। তিনি কে তা জানে না সাংবাদিক নেতারা। এমনকি সর্বশেষ সুপারিশকারী জেলা প্রশাসকও জানেন না কে এই সাংবাদিক।
জানা গেছে, সম্প্রতি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২১-২০২২ (তৃতীয় পর্যায়) মোট ৪৮১ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মাঝে ৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা প্রদানের জন্য তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। এ তালিকায় মেহেরপুর থেকে আবেদনকারীর নাম, পিতা-মাতার নাম থাকলেও নেই মিডিয়ার নাম, ফোন নম্বর। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর-১৪৫৬১৫৫৮০১। এই নম্বর র্সাচ করলে বেরিয়ে আসে মোছা. সাহিদা খাতুনের নাম। তবে এই পরিচয়পত্র কার? এমন কথা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিকদের মাঝে হৈ চৈ পড়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত খাইরুল আলম নামের সাংবাদিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। সকলের একই প্রশ্ন কে এই সাংবাদিক খাইরুল আলম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক মন্টু বলেন, আমরা এ বিষয়ে শুনেছি কিন্তু তাকে চিনি না এবং এমন নামের কোনো সাংবাদিক আছে কি-না তাও জানি না।
আবেদন ফর্মের সর্বশেষ সুপারিশকারী জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান জানান, খায়রুল আলম নামে অনুদানের জন্য কোনো সাংবাদিকের সুপারিশ করেননি। অনুদান গ্রহীতা নিজেই কোনভাবে ম্যানেজ করেছেন। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, তিনি বর্তমানে খুলনায় আছেন। তিনি মেহেরপুরে ফিরে অফিসের অন্য কেউ সুপারিশ করেছেন কি-না খোঁজ নিয়ে জানাবেন।