স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) চত্বরে শেষ হলো কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় সবজি মেলা ২০২২। তিন দিনের এ মেলার সমাপনী দিন ছিলো গতকাল বুধবার। মেলায় এবার প্রায় ৩১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সবজি বিক্রি হয়। গত বছর মেলায় সবজি বিক্রি হয়েছিলো ৩০ লাখ টাকার। ৬ষ্ঠবারের মতো এ মেলার আয়োজন করে কৃষি মন্ত্রণালয়। মেলায় সরকারি ৯টি ও বেসরকারি ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৪৬টি স্টল অংশগ্রহণ করে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ সবজি চাষ, স্বাস্থ্য পুষ্টি বারো মাস’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে শাক-সবজি আবাদে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, জেলা ও মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। শাক-সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিতে, হেক্টর প্রতি গড় ফলন সর্বোচ্চ ও দেশের সবজির চাহিদা পূরণে বিশেষ অবদান রাখায় জেলা পর্যায়ে প্রথম হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা। দ্বিতীয় নারায়নগঞ্জ, এবং তৃতীয় হয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলা। সবজি ও সবজি বীজ উৎপাদনে বিশেষ অবদান বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ জেলা নির্বাচিত হয়েছে মেহেরপুর জেলা।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে সমাপনী অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) শরিফা খান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, ড. মো. আব্দুর রৌফ, কমলারঞ্জন দাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আলম, বিভিন্ন সংস্থা প্রধান এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কৃষিসচিব শাক-সবজি আবাদে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান, জেলা ও মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এসময় তিনি বলেন, নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পুরষ্কার হিসেবে ছিলো ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ টাকা। জাতীয় পর্যায়ে ২০২১ সালে শাকসবজি আবাদে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ব্যক্তিগত পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার আব্দুল হালিমকে প্রথম পুরস্কার প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় হয়েছেন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মো. আব্দুল বাছির বদু। তৃতীয় হয়েছেন ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার কামরুল আহসান এবং টাংগাইল জেলার ধনবাড়ি উপজেলার মো. মিজানুর রহমানকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। সবজি ফসল গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও নান্দনিকতা বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
স্টলের যথার্থতা, সাজসজ্জা, প্রদর্শিত দ্রব্যের মান ও পরিমাণ ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা উপস্থাপন করে জাতীয় সবজি মেলা ২০২২ এ অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) । দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এবং তৃতীয় হয়েছে কৃষি বিপনন অধিদফতর (ড্যাম)।
বেসরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে গ্রীণ সেভারস এসোসিয়েশন দ্বিতীয় হয়েছে কৃষক বাংলা এগ্রো প্রোডাক্টস এবং তৃতীয় বায়োটেক মাশরুম। এছাড়াও প্যভিলয়ন পর্যায়ে প্রথম হয়েছে এসিআই সীড, দ্বিতীয় মেটাল এগ্রো লিমিটেড এবং তৃতীয় বিআরএসি সীড এন্ড এগ্রো এন্টারপ্রাইজ। মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।