স্টাফ রিপোর্টার: আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলে সম্মিলিতভাবে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলাকে নতুন উচ্চতায় নেয়ার লক্ষে সকলে মিলে মিশে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনে আমাদের সকলকে আন্তরিক হতে হবে।
সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামত গভীর মনোযোগসহকারে শোনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার বক্তব্যে বলেন, উপজেলার সর্বস্তরে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে, বাল্যবিয়ে বন্ধে, সকল স্থানের মাদকাসক্ততা নির্মূলে পুলিশ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই কাজ করে যাচ্ছে। ঈদুল আজহার পূর্বে সড়কে ছিনতাইয়ের পর পুলিশি তৎপরতায় আসামি গ্রেফতারসহ নেপথ্য উন্মোচন আমাদের আশ্বস্ত করেছে। ইটভাটার ট্রাক ট্রলিতে করে মাটি বালু বহনে নিয়ম মানতে হবে। সড়কে মাটি পড়ে ঝুকিপূর্ণ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সদর হাসপাতাল দালাল মুক্ত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি আমাদের সকলকে বিশেষ নজর দেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে যাদেরকে ঘর জমি উপহার দেয়া হয়েছে তারা যাতে নিরাপদে বসবাস করতে পারে সেদিকে যেমন নজর রাখতে হবে, তেমনই কোনো ব্যক্তি যাতে ঘর ভাড়ায় দিয়ে বা মাদকের আস্তানা গড়ে তুলতে না পারে সেটাও গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। কোথাও কোনো অনিয়ম ধরাপড়লে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পূর্বানুমতি ব্যাতিত বালু উত্তোলন বা মাটি কাটা যাবে না। আত্মহত্যা প্রবণতা হ্রাসেও সমজের সচেতন দায়িত্বশীলদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জরুরী হয়ে পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাহব্বুর রহমান কাজল, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লুৎফর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সংরক্ষিত শাহাজাদি মিলি, ভাইস চেয়ারম্যান গরিব রুহানী, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, আলুকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাজি আবুল কালাম, গড়াইটুপি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান রাজু, বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী, পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আলম ম-ল, মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন রতন, সমাজ সেবা অফিসার মৌমিতা পারভীন, জেলা মহিলা সংস্থার সভাপতি নাবিলা ছন্দা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. শরিয়তউল্লাহ, চেম্বার প্রতিনিধি নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবলুর রহমান, প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইসলাম রকিবসহ অনেকেই উপস্থিত থেকে অভিমত ব্যক্ত করেন। বক্তাদের মধ্য থেকে উপস্থিত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্মাট অফিসার হিসেবে সর্বস্তরে স্বীকৃত পেয়েছেন। কাজ করে দৃষ্টান্তস্থাপন করায় তাকে সংবর্ধানার আয়োজনের বিষয়টিও ভাবতে হবে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তার বক্তব্যে সম্প্রতি দৌলাতদিয়াড়ের একটি কমিউনিটি সেন্টারে পপাজি গেম খেলা ও আটককৃতদের বিষয়ে বিষদে তথ্য তুলে ধরে উঠতি যুবকদের সুপথে রাখতে এবং তাদের মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য অভিভাবকদের বাড়তি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান। দর্শনা থানার অফিসার ইনর্চাজ মাদকবিরোধী অভিযানের বর্ণনা দেয়ার পাশাপাশি সম্প্রতি সড়কে ছিনতাইয়ের নেপথ্যে কে কীভাবে জড়িত ছিলো তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, ইতোমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতকদের ধরার চেষ্টা চলছে।