চুয়াডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির মধ্যে অনুদানের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক
স্টাফ রিপোর্টার: নারীর ক্ষমতায়নে বাংলদেশ বিশে^র রোল মডেল। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী, তাই নারীদের পেছনে রেখে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে আনার জন্য কোটা সিস্টেম চালু করেছেন। এর ফলে নারী শিক্ষা-দিক্ষায় অনেক এগিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীরা সফলতা অর্জন করছে এবং দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দক্ষতায় এবং দেশের সকলের সহযোগিতায় ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এখন টার্গেট ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা। আর এ টার্গেটকে পূরণ করতে হলে দরকার সকলের সহযোগিতা। বাল্যবিয়ে নারী অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা। আমাদের দেশের অভিভাবকগণ মেয়েদের এখনও বোঝা মনে করে। ১২-১৩ বছর বয়স হলেই যেনতেন ভাবে বিয়ে দেয়া হয়। মনে করেন মেয়েকে দিতে পারলেই ঘাড়ের বোঝা নেমে যাবে। যে বয়সে মেয়েটি খেলাধুলা করবে; সে বয়সে তাকে অন্যের বাড়িতে গিয়ে স্বামী, শ^শুর, শাশুড়ি, দেবর, ননদের মন জোগাতে হয়। একটু এদিক ওদিক হলেই বিপদ। যে মেয়েটিকে বোঝা মনে করে পিতা-মাতা বিয়ে দিয়ে দিলো সেই মেয়েটি আবার ১-২টি সন্তান সাথে করে পিতা-মাতার বাড়িতে ফিরে আসতে হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নারীদেরকে উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মাধ্যমে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। প্রতি বছর মহিলা সমিতির মাধ্যমে অনুদান দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের দেয়া অনুদানের টাকাগুলো আপনারা অপচয় করবেন না। নিজেদেরকে আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদফতর কতৃক আয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতিসমূহের মধ্যে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার এ কথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দ্রিরা এমপি। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপপরিচালক মাকসুরা জান্নাত। শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলার ৩৪টি স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির মধ্যে ১০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।