সকালে মুমূর্ষু অবস্থায় শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার যুবকের মৃত্যুতে ধোঁয়াশা

 

স্টাফ রিপোর্টার: শ্বশুরবাড়ি থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার নাজমুস সাকিব সজল নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। অবশ্য গতকাল সকালে হাসপাতাল এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে সজলকে উদ্ধার করা হয়। তবে সকালে উদ্ধার করে বিকেলে হাসপাতালে নেয়ার বিষয়টি যেমন অস্পষ্ট তেমনই মৃত্যুর পরও স্ত্রী পাশে না থাকায় সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল। নাজমুস সাকিব সজল (২৫) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কোর্টপাড়ার ব্যবসায়ী নাসির উদ্দীনের ছেলে। পুলিশের ধারণা, অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে সজলের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

পিতা নাসির উদ্দীন বলেন, তিন বছর আগে নিজের পছন্দে বিয়ে করে নাজমুস সাকিব সজল। বিয়ের পর থেকে শহরের হাসপাতাল এলাকার স্ত্রী সাদিয়া ওরফে অনন্যাদের বাড়িতেই থাকতো। প্রতিদিন রাতের খাবার খেতে বাড়ি যেতো। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি না গেলে পরদিন সকালে সজলের শ্বশুরবাড়িতে যাই। অনেকক্ষণ দরজার কড়া নেড়ে কোনো সাড়া শব্দ পাইনি। ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে দেখি সজল শুয়ে আছে। ঘুমিয়ে আছে ভেবে ডাকাডাকি করিনি। বিকেলের দিয়ে সজল হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে নেয়া হয় সদর হাসপাতালে। সেখানে আধাঘণ্টার মাথায় তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, তিনদিন আগে রাগারাগি করে কুষ্টিয়ায় চলে যায় স্ত্রী। এরপর থেকে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। হয়তো আত্মহত্যা করেছে আমার ছেলে। আমার পুত্রবধূ একবারের জন্য খোজও নেইনি। চুয়াডাঙ্গাতেও আসেনি। স্থানীয়রা জানায়, সাদিয়া ওরফে অন্যনা উশৃক্সখল জীবনযাপন করতে আসছিল। কয়েকমাস আগে মায়ের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে তার চলাফেরা হয়ে ওঠে বেপরোয়া। বেশিরভাগ সময়ই চুয়াডাঙ্গার বাইরে থাকে। মাঝেমাঝে চুয়াডাঙ্গা আসে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ভালো ছিলো না। তার স্ত্রী ছেড়ে চলে গেছে কয়েকদিন আগে। শ্বশুর বাড়িতে একটি কক্ষে একায় থাকতো সাকিব। সকালে পরিবারের সদস্যরা দরজা খুলে উদ্ধার করে বিকেলে হাসপাতালে নেই। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে বিষাক্ত কিছু সেবনের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল (আজ) ময়নাতদন্তের সম্পন্ন হবে। প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ।

 

Comments (0)
Add Comment