স্টাফ রিপোর্টার: সংবাদ প্রকাশের জেরে আহসান আলম নামে এক সংবাদকর্মীকে বেধড়ক পিটিয়েছে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মী। গতকাল রোববার সকাল ১০ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভেতরেই সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক আহসান আলম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয় রাসেল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় গ্রামের দক্ষিণপাড়ার সাগরের ছেলে। সে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ওয়ার্ডবয় হিসেবে কর্মরত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (০২ জানুয়ারি) ‘চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের এক ওয়ার্ডবয় রাসেলের সাথে আস্থা প্রকল্পের এক আয়ার অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর রোববার সকাল ১০ টার দিকে চুয়াডাঙ্গাা সদর হাসপাতাল কম্পাউন্ডের একটি দোকানে চা পানের সময় ওয়ার্ডবয় রাসেল ছুটে আসেন। রাসেল ওই বৃষ্টির সাথে সম্পর্কের খবর প্রকাশ করার কারণ জানতে চাওয়ার সাথে সাথে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট করতে থাকেন। সাংবাদিক আহসান আলম আরও বলেন, সকালে ওয়ার্ডবয় রাসেল আমাকে প্রথমে হুমকি দিয়ে আরএমও’র কক্ষে চলে যায়। পরে মোবাইলে কথা বলতে বলতে এসে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাঁশ দিয়ে জনসম্মুখে বেধড়ক মারধর করে। পরে হাসপাতালে থাকা নিয়োজিত পুলিশ সদস্য ও স্থানীরা আমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের দাগ রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ফাতেহ আকরাম বলেন, আয়া বৃষ্টির জন্য ওই ওয়ার্ডবয় ও তার স্ত্রীর মনোমালিন্য হয়েছিলো। এ কারণে আয়া বৃষ্টিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। পরে তাদের মধ্যে সব ঠিক হয়ে গেছে। সাংবাদিককে মারধরের বিষয়টি দুঃখজনক। অবশ্যই আমরা এর নিন্দা জানায়।
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আলামিন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি বলেন, সাংবাদিকের ওপরে হামলার ঘটনাকে আমরা তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে আসামিকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে আইনের আওয়ায় আনার জোর দাবি করেছেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সভাপতি নাজমুল হক স্বপন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, এঘটনায় সকালে সংবাদিক আহসান আলম বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।