স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি’র সদস্যবৃন্দের দুর্যোগ বিষয়ক আদেশাবলি ২০১৯ অবহিতকরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুথবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক যুগ্মসচিব অঞ্জন চন্দ্র পাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান প্রশিক্ষণ সঞ্চালনা করেন। পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রধান অতিথি অঞ্জন চন্দ্র পাল ।
প্রশিক্ষণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, দুর্যোগ মন্ত্রণালয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের বাইরেও ত্রাণ তৎপরতায় সহায়তা দিয়ে থাকে। করোনা মহামারীর সময় বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কাজের বিনিময়ে খাদ্য বা টাকা দেয়া হয়। মাননীয় সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে যায়। ৪০০ টাকার বিনিময়ে ৮০ দিনের জন্য কাজ করা হয়। দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। টিনের বরাদ্দ দেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গায় শিলা-বৃষ্টির জন্য টিন অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে দেয়া হবে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে থাকি। জেলা কমিটি আছে। জেলা কমিটির কাজ কি তা জানাবো। বজ্রপাত থেকে রক্ষার জন্য টিআর প্রকল্পে ৬ লাখ টাকা দেয়া আছে। তালগাছ লাগানোর জন্য নির্দেশনা দেয়া আছে। মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য নতুন রাস্তার পাশে তালগাছ লাগানো যেতে পারে।
প্রশিক্ষণে স্বাগত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে কর্কট রেখা থাকার কারণে আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন। কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে। কৃষি সমৃদ্ধ জেলা হওয়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় কিছুই থাকে না। ধান কাটা হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য অসহায় হয়ে পড়ে। সহায়তা দিতে না পারি সমস্যায় পড়তে হয়। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কি কি করণীয় হতে পারে।