শাশুড়ি হত্যার অভিযোগে পুত্রবধূ জেলাহাজতে

আলমডাঙ্গা ব্যুরো,

অনলাইন ডেস্ক: আলমডাঙ্গার রায়সায় শাশুড়ি হত্যার ঘটনায় পুত্রবধূ রিজিয়াকে জেলহাজতে পালিয়েছেন আদালত। নিহতের ছোট ছেলে নিজাম উদ্দীন বাদী হয়ে বড়ভাবীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে  বুধবার আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ রিজিয়া খাতুনকে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত রিজিয়া খাতুনকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। রিজিয়া খাতুন রায়সা শানবান্দা পাড়ার নাসির উদ্দিনের স্ত্রী।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,  উপজেলার রায়সা গ্রামের মৃত হবিবার রহমান বেশ কয়েক বছর আগে স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রেখে মৃত্যু বরণ করেন। বিধবা স্ত্রী ছফুরা খাতুন (৬৫) বেশ কয়েক বছর ধরে অসুস্থ। ছফুরা খাতুন অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তাকে আলাদা একটি ঘরে অযন্তে অবহেলায় রাখা হতো বলে জানিয়েছে গ্রামবাসী। মাঝে মধ্যেই বড় ছেলে নাসিরের স্ত্রী রিজিয়া খাতুন বৃদ্ধা ছফুরা খাতুনের সাথে খারাপ আচারণ করতেন।

এলাকাবাসি জানিয়েছে, ১২ এপ্রিল যেকোন সময় নাসিরের স্ত্রী রিজিয়া খাতুন বৃদ্ধা ছফুরাকে রুটি তৈরির বেলুন বা শক্ত কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে তার ফেলে রাখে। পরে ছোট ছেলের স্ত্রী রেশমা খাতুম খাবার দিতে গিয়ে দেখতে পান বৃদ্ধা ছফুরার মাথা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। রক্তাত্ব জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে না নিয়ে গ্রাম্য চিকিৎসক সুজনকে দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। ১৩ এপ্রিল রাতে আহত বৃদ্ধা ছফুরা মৃত্যু বরণ করেন। এসময় পরিবারের লোকজন বলতে শুরু করে যে বুদ্ধা ছফুরা নিজ ঘরে পতে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়। পরেদিন মারা যায়। রাতেই গোপনে লাশ দাফনের চেষ্টা করছিলো। তিয়রবিলা ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই মহাব্বত আলী সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দাফন কাজে বাধা দেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর মর্গে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)   মো. কলিমোল্লাহ ও আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী শামীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী শামীম বলেন, ছেলের বউয়ের আঘাতে বৃদ্ধা মারা গেছেন এমন অভিযোগ উঠাতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। এদিকে নিহত বৃদ্ধা ছফুরার ছোট ছেলে নিজাম উদ্দিন বাদি হয়ে বড় ভাবী রিজিয়াকে আসামী করে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। রিজিয়াকে হত্যা মামলায় বুধবার গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

 

সম্পাদনায়, আলম আশরাফ

Comments (0)
Add Comment