জীবননগর ব্যুরোঃ জীবননগরে বোরো ধানের ফলন ভালো হলেও করোনা পরিস্থিতির অবনতি ও চলমান লকডাউনে শ্রমিক সংকটে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। কৃষকরা জানান, মৌসুমের এ সময়ে প্রতি বছর তারা শ্রমিক সংকটে পড়েন।
এ ফসল উৎপাদনে কোনো ব্যাঘাত ঘটলে সারা বছর তাদের কষ্ট করতে হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কিছু কিছু জায়গায় শুরু হয়েছে পাঁকা ধান কাটা। এলাকার শ্রমিক দিয়ে চাহিদা পূরণ না হওয়ায় অন্যান্য জেলা থেকে আসা শ্রমিকদের ওপর ভরসা করতে হয় এখানকার কৃষকদের। গেল বছর এ সময়ে করোনার ধকল কাটিয়ে না উঠতেই টানা দ্বিতীয় বার একই সময়ে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি কৃষকদের ভাবিয়ে তুলেছে।
উপজেলার উথলী গ্রামের কৃষক নজির আহমেদ জানান, গত পাঁচ বছরের তুলনায় এবার বোরোর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। রোগবালাই তেমন একটা নেই। তিনি প্রায় চার একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। এতে দুই শতাধিক মণ ধান পাওয়ার আশা করছেন তিনি।
উপজেলার দেহাটী গ্রামের কৃষক ইউনূস আলী, সুবোলপুর গ্রামের আলী হোসেন, সেনেরহুদা গ্রামের আশকার আলীসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক জন কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন কৃষকরা। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের হিরা-২, ৪ ও ৫, জনকরাজ, পাইওনিয়ার এগ্রো-১৪ রয়েছে।
জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, এবার এ উপজেলায় ৬ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পাশে থেকে রোগবালাই ও পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ সহায়তা দিয়েছেন। তিনি জানান, আমরা এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি। এ বছর ধানে পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন নেই। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ উপজেলায় ৪১ হাজার ৮৮০ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা জানান তিনি।