স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন এক নারীর হাত থেকে স্বর্ণের বালা নিয়ে পালানোর সময় রাজু হোসেন (৩২) নামের এক ইজিবাইকচালককে আটক করেছে পুলিশ। রাজু পেশায় ইজিবাইকচালক হলেও মাঝে মধ্যেই তিনি সদর হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন রোগীর জিনিসপত্র চুরি করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের জরুরি বিভাগে থাকাকালীন পরিবারের লোকজন রোগীর হাতের একটি স্বর্ণের বালা না দেখতে পেয়ে ইজিবাইক চালক রাজুকে আটক করে। পরে তার পকেট থেকে স্বর্ণের বালাটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত পুলিশ টিম রাজুকে আটক করে থাকা হেফাজতে দেয়। আটক রাজু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার এতিমখানাপাড়ার বদরুজ্জামানের ছেলে।
রোগীর স্বজন জোসনা বেগম বলেন, ‘রোগী রুশিয়া খাতুন সম্পর্কে আমার জা (ভাশুরের স্ত্রী)। সকালে তিনি পড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়লে একটি ইজিবাইকযোগে তাকে হাপসাতালে নিয়ে আসি। ইজিবাইকচালক আমার জাকে হাপসাতালের ভেতরে নিতে সাহায্যও করে। এরই একপর্যায়ে সে আমার জায়ের হাত টিপতে থাকে। হাত টেপার একপর্যায়ে সে হাত থেকে স্বর্ণের বালাটি খুলে পকেটে ভরে নেয়। তখন আমার সন্দেহ হলে দেখি রুশিয়ার হাতের একটি বালা নেই। এ সময় আমার চিৎকারে হাপসাতালের লোকজন ইজিবাইকচালককে ধরে ফেলে। পরে তার প্যান্টের ভেতরের পকেট থেকে বালাটি বের করে দেয়।’
সদর হাপসাতালের জরুরি বিভাগের স্বেচ্ছাসেবক জানান, ‘রাজু ইজিবাইকচালালেও সে মাঝে মধ্যেই চুরি করে। এর আগেও তাকে চুরির দ্বায়ে হাপসাতাল থেকে ধরা হয়। কিন্তু সে সময় তাকে ছেড়েও দেয়া হয়। আজ আবার সে হাপসাতাল থেকে চুরির সময় ধাতে নাতে ধরা পড়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা জানান, ‘রাজু একজন ইজিবাইকচালক। তার ইজিবাইকযোগে হাপসাতালে আসা এক রোগীর হাত থেকে স্বর্ণের চুড়ি খুলে নিয়ে পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়। রোগীর স্বজনদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আটক রাজুকে থানা পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘হাপসাতালের জরুরি বিভাগে রোগীর হাত থেকে স্বর্ণের চুড়ি চুরি করে পালানোর সময় হাপসাতাল পুলিশ তাকে আটক করে। আমরা এখনো রোগীর পরিবার থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনাগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’