দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবুর প্রশংসনীয় ভূমিকা
দর্শনা অফিস: দর্শনা রেলবাজারের রেলগেটের একটি মার্কেটে মালিকের অনিচ্ছাতেও জোরপূর্বক দীর্ঘদিন দোকান দখল করে ব্যবসার অবশেষে অবসান হলো। বিজ্ঞ আদালতের রায়ের পরও দোকান ছাড়তে নারাজ ব্যবসায়ীকে অবশেষে উচ্ছেদ করা হয়েছে। দর্শনা পৌর মেয়র অতিয়ার রহমান হাবু’র ভূমিকায় দোকান ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন অবৈধ ভাড়াটিয়া আমজাদ হোসেন খোকা। দর্শনা পৌর শহরের রুস্তম বারি মন্ডলের ছেলে আব্দুল জব্বার দর্শনা রেলবাজারের রেলগেটস্থ মার্কেটে দুটি দোকান চুক্তি মাফিক ভাড়ায় দেন দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের সুলতানপুরের আ. হামিদের ছেলে আমজাদ হোসেন খোকার কাছে। লিখিত চুক্তি মাফিক বছর তিনেক আগে থেকে দোকান ঘর ছাড়তে লিখিত নোটিশ দেয়া হলেও তা মানেনি। এক পর্যায়ে দর্শনা পৌরসভায় সালিশ বৈঠকেও তাকে দোকান ঘর ছাড়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। পরপরই দর্শনা থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়। সে বৈঠকেও খোকা দোকান ছাড়ার জন্য ৪ মাসের সময় চেয়ে নিলেও তাও ছাড়েনি। মেয়র ও থানার সিদ্ধান্ত অমান্য করেন খোকা। থানা থেকে সময় চেয়ে নিলেও আদালতে মিথ্যা অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন মার্কেট মালিকের বড় ছেলে বাদলের বিরুদ্ধে। ওই মামলা রায় খোকার বিপক্ষে গেলেও সে পুনরায় আপিল করেন আদালতে। অবশেষে গত ১৬ সেপ্টেম্বর আপিলের রায়ও হয় দোকান মালিকের পক্ষে। এ রায়ও উপেক্ষা করে এক প্রকার জোর পূর্বক দখল রেখে নানা রকমের হুমকি ধামকি দিতে থাকেন খোকা। উপায়ন্তর না পেয়ে বাদলসহ তার পরিবারের সদস্যরা দারস্থ হয় দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবুর কাছে। গতকাল বুধবার মেয়র হাবু রেল বাজার দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে অবৈধ ভাড়াটিয়া আমজাদ হোসেন খোকাকে উচ্ছেদ করেন। মেয়রের এ সিদ্ধান্তকে শতস্ফূর্ত সমর্থন উপস্থিত জনতা। আতিয়ার রহমান হাবু জানান, এ ধরণের অবৈধ ভাড়াটিয়াদের কোনভাবে ছাড় দেয়া উচিৎ নয়। দীর্ঘদিনের বিরোধ নিরসনে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মেয়র আতিয়ার রহমান হাবুকে ভূয়সি প্রশংসা ও সাধুবাদ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা পৌর প্যানেল মেয়র রবিউল হক সুমন, কাউন্সিলর আশুর উদ্দিন, রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি টিপু সুলতান, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আ. হান্নান ছোট, সহ-সম্পাদক আ. মান্নান খান প্রমুখ।