স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিং করেছে প্রশাসন। সোমবার দুপুরে শহরের নিচের বাজার, পুরাতন গলির মার্কেটসহ বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি কসমেটিকসের দোকানে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সতর্ক করা হয় বেশ কয়েকটি কাপড় ও কাঁচামালের দোকান মালিককে। একইসাথে তরমুজের দোকানে গিয়ে মূল্য তালিকা পর্যালোচনা করা হয়। কেজিতে নয়, পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, রমজান উপলক্ষে অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে বাজার পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করে তুলছে। বাজার স্বাভাবিক রাখতে নিচের বাজারের কাঁচাবাজার, মাছ ও মাংসের দোকানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে অধিকাংশ দোকানে পণ্যের মূল্যতালিকা না থাকায় মূল্য তালিকা টানানোর নির্দেশ দেয়া হয়। পরে পুরাতন গলির মার্কেটে কাপড় ও প্রসাধনীর দোকানে অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সরংক্ষণ, ভারতীয় পণ্য ও ঢাকার চকবাজারের পণ্য আমদানীর দায়ে মেসার্স পলক গিফট কর্ণার নামের একটি প্রসাধনীর দোকানে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর ফলের দোকানে মনিটরিং করা হয়। সেখানে তরমুজ বিক্রির ক্ষেত্রে কেজিতে না বিক্রি করে পিস হিসেবে বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান। তিনি জানান, প্রশাসনের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। একজন ক্রেতার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি প্রসাধনীর দোকানে জরিমানা করা হয়েছে। আর বাকি দোকানের বিভিন্ন ত্রুটি নজরে এসেছে। সেসব ত্রুটি সংশোধনের জন্য ৭ দিনের সময় বেধে দেয়া হয়। অভিযানে আরও অংশ নেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ, জেলা বিপণন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামসহ ব্যবসায়ীক নেতৃবৃন্দ ও সদর থানা পুলিশ।